দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: এক গ্লাস দুধ পুষ্টিগুণে ভরপুর। আমিষ জাতীয় এই তরল পানীয়টি ক্যালসিয়ামেরও অনেক বড় একটি উৎস। এছাড়াও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রভাবসহ পুষ্টিগুণে ভরা এই পানীয়টি করোনা মোকাবেলায় একটি সেরা পানীয়। তাই শরীরের প্রয়োজনে সুষম খাবারের তালিকায় অবশ্যই দুধ বা দুধের খাবার থাকা জরুরি।

করোনাভাইরাস মহামারি রূপ ধারণ করেছে। যেকোনো মুহূর্তে আক্রান্ত হওয়ার ভয় থাকছেই। ঠান্ডা কাশি কারোনায় লক্ষণ। আর দুধ হলো সর্দি নিরাময়ের কার্যকরী পানীয়।

তবে গরম দুধ খেতে হবে। সাথে একটুখানি মধু মিশিয়ে গরম দুধের এই পানীয়টিতে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রভাব রয়েছে বলে বলা হয়। ফলে দ্রুত আরোগ্য লাভ করা যায়।

করোনায় সবচেয়ে বেশি যন্ত্রণা হয় শ্বাসকষ্টে। আর দুধে পটাশিয়ামের উপস্থিতি শ্বাসকষ্টকে কমিয়ে দেয়। আর গরম দুধের সাথে হলুদ মিশিয়ে খেলে শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থও বেরিয়ে আসতে সহায়তা করে।

ঘরবন্দির এই সময়গুলোতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে নিশ্চয়। তাই ভালো ঘুমের জন্য অবশ্যই গরম দুধ খাবেন। কারণ গরম দুধে অ্যামিনো এসিড রয়েছে যা ভালো ঘুম হতে সহায়তা করে। দুধ গরম হলে এই অ্যাসিডগুলোও সক্রিয় হয়। তাই বিছানায় যাওয়ার আগে অবশ্যই এক গ্লাস গরম দুধ খেয়ে নেবেন।

এই লকডাউনে পরিশ্রম অনেকখানি কমে গিয়ে বাড়িয়ে দিতে পারে ওজন। আর ঠান্ডা দুধ ওজন কমাতে সহায়তা করে। কারণ ঠান্ডা দুধে ক্যালসিয়ামের উপস্থিতি আপনার দেহের বিপাক উন্নত করে এবং আরও বেশি ক্যালোরি পোড়ায়। তাই এক গ্লাস ঠাণ্ডা দুধ অবশ্যই খাবেন।

আলো-বাতাস পর্যাপ্ত গায়ে না লাগায় ঘরবন্দি সময়গুলোতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ত্বক। ঠান্ডা দুধের ইলেক্ট্রোলাইটসযুক্ত উপাদান আপনার দেহের ডিহাইড্রেশনের পক্ষে লড়ে যাবে। ফলে ঠান্ডা দুধ আপনারে হাইড্রেটেড এবং ত্বককে রাখবে উজ্জ্বল।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৪এপ্রিল,২০২০)