দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: করোনাভাইরাসের আঘাতে গোটা যুক্তরাষ্ট্র যখন মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে, তখনই দেশটিতে তাণ্ডব চালিয়েছে ভয়াবহ টর্নেডো। এই ঝড়ের আঘাতে দেশের বিভিন্ন স্থানে কমপক্ষে ৩৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন।

স্থানীয় সময় রোববার রাতে একটি শক্তিশালী টর্নেডো দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্যগুলোর ওপর আঘাত হানে বলে আল জাজিরা জানিয়েছে। ওই ঝড়ের পর বন্যায় প্লাবিত হয়েছে বিভিন্ন অঞ্চল। এছাড়া বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন দেশটির ১০ লাখেরও বেশি মানুষ।

গত রোববার দিনের শুরু থেকেই মধ্য টেক্সাসে আঘাত হানতে শুরু করে টর্নেডো। সেখানে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে এটি রাতে একে একে লুইজিয়ানা, আরাকানসাস, মিসিসিপি, টেনেসি, আলাবামা, জর্জিয়া ও ক্যারোলিনা অঙ্গরাজ্যে ধ্বংসযজ্ঞ চালায়।

টর্নোডোর আঘাতে শুধু মিসিসিপি অঙ্গরাজ্যেই নিহত হয়েছেন ১১ জন। সেখানে ধ্বংস হয়েছে ৩ শতাধিক ঘরবাড়িও।

এছাড়া দক্ষিণ ক্যারোলিনায় মারা গেছেন নয়জন। সেখানে ঝড়ের আঘাতে উপড়ে পড়েছে অসংখ্য গাছপালা।

মিসিসিপি, লুইজিয়ানা, আলাবামার গভর্নরেরা অঙ্গরাজ্যগুলোতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় এ অঞ্চলে অন্তত ৪১বার টর্নেডো আঘাত হেনেছে বলে জানা গেছে।

সোমবার সকালেও উত্তর ফ্লোরিডা, ভার্জিনিয়া ও ক্যারোলিনায় বেশ কয়েকবার ঝড়-বজ্রঝড় আঘাত হেনেছে। নিউ জার্সি থেকে ফ্লোরিডায় ব্যাপক ঝড় ও নিউ ইংল্যান্ডে ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকায় মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছেন এ অঞ্চলের অন্তত চার কোটি মানুষ।

এছাড়া মিসিসিপি নদীর তীরবর্তী ১৬ কোটি বাসিন্দাকেও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রে এমন এক সময়ে এই টর্নেডো আঘাত হানলো যখন করোনা মহামারির থাবায় বিপর্যস্ত গোটা দেশ। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে এখানেই। এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৯৪১ জন। দেশটিতে মারা গেছেন মোট ২৩ হাজার ৬৪০ জন।

সূত্র: আল জাজিরা

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৪এপ্রিল,২০২০)