বজ্রপাতে প্রাণ গেল ৪ কৃষকের
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের শাল্লা, জগন্নাথপুর, দিরাই ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলায় পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় ৪ কৃষকের মৃত্যু ঘটেছে।শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে দুপুর ১২ পর্যন্ত এসব ঘটনা ঘটে।
মৃতরা হলেন- শাল্লা উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের শঙ্কর সরকার (২২), জগন্নাথপুর উপজেলার বাউধরন গ্রামের কৈচাপরী পাড়ার শিপন মিয়া (২৪), দিরাই উপজেলার তাপস মিয়া (৩৪) ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার ফরিদ মিয়া নামের আরেক কৃষক।
শাল্লায় নিহত কৃষককের নাম শংকর সরকার (২২)। তিনি হবিবপুর ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের সুরেন্দ্র সরকারের ছেলে। একইসময়ে পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় জগন্নাথপুরের বাউধরণ গ্রাম পার্শবর্তী হাওরে গরু নিয়ে যাবার সময় শিপন মিয়া (৩৩) নামের আরেক কৃষকের মৃত্যু ঘটে। তিনি বাউধরণ গ্রামের মৃত তবারক মিয়ার ছেলে। এখানে বজ্রপাতে একটি গরুও মারা গেছে।
দিরাইয়ে ধান কাটতে হাওরে গিয়ে তাপস মিয়া (৩৫) নামের এক কৃষককের মৃত্যু হয়েছে। এই কৃষক হবিগঞ্জের আজমিরিগঞ্জ উপজেলার জলসুখা গ্রামের মফিজ উল্লার ছেলে। দক্ষিণ সুনামগঞ্জের হাওরে বজ্রপাতে ফরিদ মিয়া (৩৫) নামের আরেক কৃষকের মৃত্যু ঘটেছে। তিনি উত্তর গাজীনগরের আমিরুল ইসলামের ছেলে। এখানে দুটি গরুর মৃত্যু হয়েছে।
শাল্লা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলামিন চৌধুরী জানান, বজ্রপাতের ঘটনায় শংকর সরকার শ্বাসখাই বাজারে যাবার পথেই মারা গেছেন। এরপর তার স্বজনরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলেন, ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জগন্নাথপুর থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, বাউধরণ গ্রাম পার্শবর্তী হাওরে বজ্রপাতে এক কৃষককের মৃত্যুর খবর স্থানীয় ইউপি সদস্য জানিয়েছেন তাকে।
দিরাই উপজেলার সরমঙ্গল ইউপি চেয়ারম্যান এহসান চৌধুরী জানান, কৃষক তাপস মিয়া ধান কাটতে জলসুখা থেকে সরমঙ্গলে এসেছেন। শনিবার সকালে তিনি অন্যদের সঙ্গে পাশের উদগল হাওরে ধান কাটতে গিয়েছিলেন। হাওরে ঝড়, শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাত শুরু হলে তাপস দৌড়ে সরমঙ্গল গ্রামে ফেরার চেষ্টা করেন। এসময় পথেই বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার ওসি হারুনুর রশিদ চৌধুরী জানিয়েছেন, সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলার পাঁচগুছিয়া হাওরে বজ্রপাতের ঘটনায় ফরিদ মিয়া নামের ওই কৃষক মারা যান। এসময় তার দুটি গরুও মারা গেছে।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৮এপ্রিল,২০২০)