দিরিপোর্ট২৪ ডেস্ক : অনিদ্রা অনেকের জন্য দুর্ভাবনার বিষয়। এটি শারীরিক ও মানসিক দুইভাবেই ক্ষতিকর। অনেককে দেখা যায় দীর্ঘ সময়ের জন্য ঘুমাতে পারছে না। অথবা এমন হতে পারে যে কিছুক্ষণ পর পর ঘুম ভেঙ্গে যায়। অনিদ্রার কিছু কারণ নিচে দেয়া হলো-

১. মানসিক সমস্যার কারণে ঘুম না হতে পারে। এর মধ্যে আছে হতাশা, উদ্বেগ বা ক্ষোভ।

২. কিছু শারীরিক সমস্যার কারণেও ঘুম নাও হতে পারে। যেমন- শরীরের কোন অংশ ব্যথা, অস্বস্থিবোধ, হৃদযন্ত্রের সমস্যা। অনেক পথ হাঁটলেও অনেকক্ষেত্রে ঘুম নাও আসতে পারে। আথ্রাইটিস ও ক্রনিক ব্রংকাইটিসের রোগীরাও প্রায়শ অনিদ্রায় ভুগেন।

৩. কার্পাল টানেল সিন্ড্রোমের মতো হাতের সমস্যার কারণে অনিদ্রা হতে পারে।

৪. ফ্লুক্সিটান, সিপ্রোফ্লোক্সাসিন, থিওফাইলিনের মতো ওষুধ অনিদ্রার কারণ হতে পারে।

৫. ফ্যাটাল ফ্যামিলিয়াল ইনসোম্যানিয়া নতুন ধরনের বিরল রোগ। অস্বাভাবিক জেনেটিক উপাদানের জন্য এটি ঘটতে পারে।

৬. অনেক সময় মনো-দৈহিক অসন্তুষ্টি একইসঙ্গে ঘুম না হবার জন্য দায়ি হতে পারে।

৭. অনেকক্ষেত্রে কোন কারণ ছাড়াই কারো কারো অনিদ্রা হতে পারে।

শিশুদের ক্ষেত্রে ঘুম নিয়ে কিছু সমস্যা হতে পারে-

১. ঘুমের মধ্যে প্রস্রাব করা। একে নকটার্নাল ইনিওরেসিস বলা হয়। চার থেকে চৌদ্দ বছর বয়সীদের প্রতি দশজন শিশুর একজনের এই সমস্যা রয়েছে। এর ভালো উপায় ঘুমের মাঝে শিশুর প্রস্রাব করিয়ে নেয়া।

২. অনেক সময় কোনো ধরনের ভয়ের কারণে শিশুর ঘুম নাও আসতে পারে। এই সময় শিশু কান্না করে ও গুটিসুটি মেরে থাকে। তবে অল্প সময়ে তা ঠিক হয়ে যায়। অনেক সময় একে মৃগীরোগ ধরে নিয়ে ভুল বোঝা হয়। এটি প্রতি রাতেও হতে পারে। একে নকটার্নাল টেররস বলে।

৩. শিশু অনেক সময় ঘুমের মধ্যে হাঁটে এবং আবার কিছুক্ষণ পর বিছানায় শুয়ে পড়ে। তবে এটা নিজে নিজেই সেরে যায়। খেয়াল রাখতে হবে এ সময় যাতে কোনো ধরনের আঘাত না পায়।

(দিরিপোর্ট২৪/ডব্লিউএস/এমডি/নভেম্বর ১০, ২০১৩)