এক ঘণ্টায় ১৫ কোটি, জীবন বদলে গেলো পিৎজাকর্মীর
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: ৩৪ বছর বয়সি শারাদ দেশমুখ নিজেকে সবসময় সাধারণ মানুষ মনে করেন। তার একটি ছোট চাকরি ও প্রিয়তমা স্ত্রী রয়েছে। অন্য দিনের মতো তিনি তার চারকিস্থল ডমিনো'জ এ সকালের শিফটে কাজ করছিলেন। কিন্তু কাজের বিরতিতে এমন একটি ঘটনা ঘটলো যা তার জীবন বদলে দিয়েছে।
ভারতের বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা শারাদের স্ত্রীরও স্থির কোনো চাকরি ছিল না। তিনি দূরে চাকরি করায় শারাদ নয় মাস ধরে স্ত্রীর পাশাপাশি থাকার জন্য চাকরি বদল করেছেন। অস্থায়ী ডেস্কের চাকরি, স্থানীয় সুপার মার্কেটে বা অন্যান্য স্থানে চাকরি করেছেন। কয়েকদিন আগে ডমিনো'জ এ চাকরি হওয়ার আগে তিনি ভাবছিলেন এভাবেই তার জীবন পার করতে হবে।
কাজের বিরতিতে ফেসবুক ব্রাউজ করছিলেন শারাদ। সেখানে তিনি একটি অনলাইন ক্যাসিনোর সাইট দেখতে পান যেখানে লেখা ছিলো যে ভারতীয় খেলোয়াড়দের জন্য ৩০ হাজার রুপি ওয়েলকাম বোনাস প্রদান করা হবে। ১৫ মিনিট তারা ফ্রি সময় পাবেন এসময় তাদেরকে কিছুই হারাতে হবে না। এরপরই শারাদ তার ভাগ্য পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেন। তার এক ঘণ্টা পর যা ঘটেছিল তা তার পরিবারের ভাগ্যকে চিরতরে পাল্টে দিয়েছে।
তিনি ফেসবুকে লাইভ ক্যাসিনো খেলে ১৫ কোটি ৬২ লাখ রুপি জিতে নেন। মাত্র এক ঘণ্টার ব্যবধানে যথেষ্ট অর্থ জয়ের পর তিনি তাৎক্ষণিকভাবে ডমিনো'জ থেকে অবসর নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন এবং টয়লেট পেপারে তিনি তার ইস্তফার পত্র লেখেন।
পরদিন সকালে শারাদ অনুভব করেন এখনই স্ত্রীকে চমকে দেয়ার জন্য রওনা দিতে হবে। কাজের কারণে যার সঙ্গে গত সাত মাস দেখা হয়নি।
শারাদ বলেন, আমি প্রথমে এটা বিশ্বাস করতে পারিনি। রেজিস্ট্রেশনের পর আমি এক হাজার রুপি ডিপোজিট করেছিলাম। আমি চিন্তা করেছিলাম ওয়েলকাম বোনাস পাওয়াটাই অনেক কিছু। আমি খেলা শুরু করি এবং জিতে যায়। আমি আমার বয়স জানিয়ে তাদের কাছে ১৫ কোটি ৬২ লাখ ৫২ হাজার ৮৭২ রুপি ব্যাংকে দেয়ার দাবি করি। আমি স্তব্ধ হয়ে যায় যখন এই পরিমাণ অর্থ আমার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পরদিন জমা হয়। আমি এই ঘটনা আমার স্ত্রীর নিকট শেয়ার করার জন্য অপেক্ষা করতে পারছিলাম না। আমি কাঁদছিলাম এবং আমি জানতাম যে এটা সত্যি।
শারাদ ও তার স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছেন। তারা তাদের পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। শারাদ বলেন, আমি খুব খুশি যে স্ত্রীর সঙ্গে একসঙ্গে একই শহরে থাকতে পারবো।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২০এপ্রিল,২০২০)