এটা সত্যি অনেক বড় ধাক্কা ছিল: রোনালদিনহো
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: গত ৪ মার্চ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য প্যারাগুয়েতে আসেন ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি ফুটবলার রোনালদিনহো ও তাঁর ভাই। বিমানবন্দরে ২০০০ শিশু তাকে অভিবাদন জানিয়ে আতিথ্য দেয়। সেখান থেকে থাকার জন্য হোটেলে যান তাঁরা। তবে হোটেলরুম থেকে জাল পাসপোর্ট ও ভুয়া কাগজপত্রের জন্য নিজ ভাইসহ গ্রেপ্তার হোন রোনালদিনহো।
পরবর্তীতে তাদের নামে মামলা করে জেলে পাঠায় আদালত। তাদের দেওয়া হয় ছয় মাসের জেল। পরে প্রায় ১৪ কোটি টাকা মুচলেকা দিয়ে জামিন পান তাঁরা দুই ভাই। যদিও এখনো প্যারাগুয়েতে আছেন হাউজ অ্যারেস্ট অবস্থায়। এতদিন এ নিয়ে কোনো কথাই বলেননি রোনালদিনহো। অবশেষে প্যারাগুইয়ান দৈনিক এবিসি কালারকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে যাবতীয় অভিজ্ঞতা নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি।
রোনালদিনহো জানালেন, কারাবন্দি জীবনটা খুব একটা খারাপ কাটেনি তাঁর। সেলিব্রিটি হিসেবে পেয়েছেন জেলের সর্বোচ্চ সুবিধা। বন্ধুভাবাপন্ন ছিল জেলে থাকা সঙ্গীরা। তাদের সঙ্গে ফুটবল, ভলিবল খেলেই সময় কাটিয়েছেন রোনালদিনহো। এমনকি ২১ মার্চ নিজের ৪০তম জন্মদিনও জেলেই কাটিয়েছেন তিনি। জেলে ভালো সময় কাটলেও তিনি মনে করেন জেল জীবন আর মুক্ত জীবনের মধ্যে পার্থক্য অনেক বেশি।
জেলে থাকার অভিজ্ঞতা অনেক বড় ধাক্কা বলে স্বীকার করে রোনালদিনহো বলেন, ‘সারাজীবন পেশাদারিত্বের সহিত মনের আনন্দে খেলে গেছি। কখনও ভাবিনি এমন কিছুর মুখোমুখি হতে হবে। এটা সত্যিই অনেক বড় ধাক্কা ছিল। তবে কারাগারে যার সঙ্গেই দেখা হয়েছে, প্রত্যেকে বেশ ভালোভাবে স্বাগত জানিয়েছে আমাকে। সারাজীবনই ফুটবল খেলেছি, অটোগ্রাফ দিয়েছি, ছবি তুলেছি। কারাগারেও এগুলো করে সময় কেটে গেছে।’
তবে রোনালদিনহো জানালেন, কী করে জাল পাসপোর্ট এসেছে তাঁর কাছে সে বিষয়ে কিছু জানেন না তিনি। পুরো ব্যাপারটি দেখছিলেন প্যারাগুয়ের সেই আয়োজকরা। তারা তাকে যা দিয়েছে, সেটি নিয়েই গিয়েছিলেন তিনি। ফলে বিমানবন্দরে জাল পাসপোর্ট ধরা পড়ার পর তিনি নিজেও অবাক হয়েছিলেন। রোনালদিনহো নিজের কথার সঙ্গে আরও যোগ করেন,
‘আমাদের সঙ্গে থাকা কাগজপত্রগুলো যখন জাল বলে ধরা পড়লো, আমরা অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। আমরা শুরু থেকেই তাই বিচারক এবং বিচার ব্যবস্থার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে এসেছি। একদম শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত ঘটা সবকিছু সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জানিয়েছি।’
ব্রাজিলিয়ান এই সুপারস্টার আশা করছেন খুব তাড়াতাড়ি এ ঝামেলা থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন তাঁরা। এ নিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আশা করছি খুব দ্রুতই প্যারাগুয়ের বিচার ব্যবস্থা সবকিছু আমলে নেবে। আর আমাদের অবস্থান বিবেচনা করে কবে নাগাদ আমরা মুক্তি পেতে পারি সেই বিষয়টি নিশ্চিত করবে।’
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২৮এপ্রিল,২০২০)