দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: করোনাভাইরাস থেকে সের উঠেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এরই মধ্যে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে অফিসেও ফিরেছেন তিনি। সদ্য পুত্র সন্তানের বাবা হয়েছেন। এতদিন পর রবিবার করোনায় আক্রান্ত ও হাসপাতালের আইসিইউতে কাটানো দুঃসহ স্মৃতি তুলে ধরেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।

তিনি জানিয়েছেন, তার বাচা-মরার ফিফটি ফিফটি চান্স ছিলো। এমনকি চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণার প্রস্তুতিও নিয়ে রেখেছিলেন।

৫৫ বছর বয়সি জনসন তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ৫ এপ্রিল সেন্ট থমাস হাসপাতালে স্থানান্তরিত হয়েছিলেন এবং ১২ এপ্রিল তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন। সুস্থ হওয়ার পর তিনি চিকিৎসকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি জানান, পরিস্থিতি যেকোনো দিকে যেতে পারতো।

দ্য সানকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বরিস সেই স্মৃতির কথা বলতে গিয়ে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন। তিনি জানান, চিকিৎসকরা লিটার লিটার অক্সিজেন দেয়ার পরও তেমন কোনো অগ্রগতি হচ্ছিল না। তারা আমার মৃত্যুর ঘোষণা দেয়ারও প্রস্তুতি নিতে বাধ্য হয়েছিলেন।

তিনি জানান, বিশ্বাস করা শক্ত ছিল যে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে আমার স্বাস্থ্যের এতদূর অবনতি হয়েছিল। মনে আছে হতাশা বোধ করছিলাম। আমি কেন ভাল হচ্ছি না বুঝতে পারছিলাম না।

বরিস বলেন, আমি আমার নাক ভেঙেছি, আমার আঙুলটি ভেঙেছি, কব্জিটি ভেঙেছি, আমার পাঁজর ভেঙে ফেলেছি। আমি প্রায় সবকিছু ভেঙে ফেলেছি। এছাড়াও অনেক সমস্যা হয়েছে আমার। তবে এর আগে এত গুরুতর কিছু হয়নি।

হাসপাতাল থেকে মুক্তি পেয়ে গত বুধবার ছেলেসন্তানের মুখ দেখেন বরিস। জনসন ও তার বান্ধবী সিমন্ড জানিয়েছেন, চিকিৎসকদের উৎসর্গ করে ছেলের নাম রেখেছেন উইলফ্রেড ল্যারি নিকোলাস জনসন।

নিকোলাস রেখেছেন ড. নিক প্রাইস এবং ড. নিক হার্টের নামানুসারে, যারা গত মাসে তার ‘জীবন রক্ষা করেছেন’। জনসন জানান, ডাক্তাররা তাকে সর্বোচ্চ সেবা দিয়েছেন। করোনা থেকে বাঁচায় নিজেকে সৌভাগ্যবান ভাবছেন জনসন।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০৩মে,২০২০)