দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: করোনাভাইরাসে আক্রান্ত দেশের প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তিনি আগের চেয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) থেকে কেবিনে নিয়ে আসা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে মুগদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক ডা. গোলাম নবী তুহিন এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন,‘মুনতাসীর মামুন পুরোপুরি সুস্থ আছেন। তাঁকে আজ সকালে আইসিইউ থেকে কেবিনে দেওয়া হয়েছে।’

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দেশের বিশিষ্ট এই লেখকের চিকিৎসায় ছয় সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।

হাসপাতাল পরিচালক গোলাম নবী তুহিন বলেন, ‘মেডিসিন বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. রুবিনা ইয়াসমিনকে প্রধান করে ছয় সদস্যের একটি টিম করা হয়েছে মুনতাসীর মামুনের সার্বিক দেখভালের জন্য। আজ বেলা বারোটা থেকে মেডিকেল টিম কাজ শুর করেছে।’

এর আগে গত রবিবার করোনা উপসর্গসহ মুনতাসীর মামুনকে রাজধানীর মুগদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে রাত ১২টার দিকে তার অবস্থার অবনতি হলে আইসিইউতে নেওয়া হয়।

অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের মা করোনায় আক্রান্ত হয়ে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। মায়ের সান্নিধ্যেও ছিলেন তিনি। ১০ দিন আগে মায়ের সংর্স্পশে আসার আগে তার করোনা টেস্ট করা হয়, কিন্তু তখন নেগেটিভ আসে। এখন হঠাৎ করে শ্বাসকষ্ট দেখা দেওয়ায় তাকে মুগদা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

৬৯ বছর বয়সী মুনতাসীর মামুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিভাগে শিক্ষকতার পাশাপাশি ঢাকা ও মুক্তিযুদ্ধের ওপর অনেক গবেষণাধর্মী কাজ করেছেন।

একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবির আন্দোলনে সম্পৃক্ত এই অধ্যাপক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্যও দিয়েছেন।

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটিতে সক্রিয় ঢাবির এই শিক্ষক বর্তমানে এই কমিটিতে সহ-সভাপতির পদে রয়েছেন। ২০১৪ সালের ১৭ মে খুলনায় গণহত্যা নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রেখেছেন তিনি।

এছাড়া একাত্তরের ২৫ মার্চের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য লড়ছেন স্বাধীন বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত ডাকসুর প্রথম নির্বাচনে সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত মুনতাসীর মামুন।

ঢাকার ইতিহাস চর্চার জন্য মুনতাসীর মামুন প্রতিষ্ঠা করেছেন সেন্টার ফর ঢাকা স্টাডিজ (ঢাকা চর্চা কেন্দ্র)। তিনি বাংলা একাডেমির একজন ফেলো।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০৫মে, ২০২০)