দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: স্পেনে করোনা পরিস্থিতিতে আরোপিত কড়াকড়ি কিছুটা শিথিল করা হলেও সামাজিক দূরত্বের বিধানসহ কিছু বিধিনিষেধের মেয়াদ আগামী ২৪ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

বুধবার কংগ্রেসে এ সংক্রান্ত বিষয়ে ‘হ্যাঁ’ ও ‘না’ ভোট অনুষ্ঠিত হয়। ৩৫০ ভোটের মধ্যে ১৭৮ ভোটে বিজয়ী হয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ এ সিদ্ধান্ত নেন।

নতুন ঘোষণা অনুযায়ী দেশটিতে আরও দুই সপ্তাহ এ স্টেট অব অ্যালার্ট চলবে।

২৬ এপ্রিল থেকে শিশু-কিশোরদের একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘর থেকে বের হওয়ার সুযোগ দেয়ার পর ২ মে থেকে বয়স্কদেরও ঘর থেকে বের হওয়ার সুযোগ দিয়েছে সরকার।

বুধবার জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ বলেছেন, এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও ফলপ্রসূ হলে জুন মাসের শেষের দিকে স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরবে স্পেন।

তিনি বলেন, আমরা মহামারীর প্রথম পর্যায় পেরিয়ে গেছি। তবে আমাদের সর্বদা সচেতন থাকতে হবে এবং ভাইরাসের প্রতি আমাদের কঠোর নজর রাখতে হবে। মানুষ এতদিন নিয়মবিধি মেনে চলায় তার সুফল পাওয়া যাচ্ছে। ভবিষ্যতেও মানুষের আচরণের ওপর বর্তমান সংকটের গতিপ্রকৃতি নির্ভর করবে।

তবে দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে, করোনাভাইরাস দেশটিতে পুনরায় সংক্রমণ ছড়ানোর উচ্চ সম্ভাবনা রয়েছে । তবে তা হতে পারে অনেক ছোট পরিসরে। তাই সামনের মাসগুলোর জন্য জরুরি প্রস্তুতি নিয়ে রাখার কথাও বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১৩ মার্চ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত প্রথম দফা, ২৬ মার্চ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত দ্বিতীয় দফা, এবং ১৫ এপ্রিল থেকে ৬ মে পর্যন্ত তৃতীয় দফায় বাইরে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল।

প্রসঙ্গত স্পেনে করোনাভাইরাসের প্রকোপ সন্তোষজনক হারে কমেছে। চলতি মাসের শুরু থেকেই মৃত্যুর সংখ্যা কমতে শুরু করে। ওয়ার্ল্ডওমিটারে দেয়া তথ্যানুযায়ী জরুরি অবস্থা শুরুর পর থেকে অর্থাৎ ১৪ মার্চের পর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৩ ও ৪ মে সর্বনিম্ন ১৬৪ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।

বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের প্রকোপে বিশ্বের দ্বিতীয় ক্ষতিগ্রস্ত দেশ স্পেনে ইতিমধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন আড়াই লাখের ওপর মানুষ। মারা গেছেন ২৫ হাজার ৮৫৭ জন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ৫৯ হাজার ৩৫৯ জন।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০৭মে, ২০২০)