চম্পা ধর্ষণ হত্যার মূলহোতা পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত
কক্সবাজার প্রতিনিধি: কক্সবাজারের চকরিয়ায় সম্প্রতি চম্পা বেগম (১৯) নামে এক তরুণীকে ধর্ষণের পর চলন্তগাড়ী থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা করা হয়। ওই মামলার প্রধান আসামী ও মুল হোতা সাজ্জাদ হোসেন পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে।
নিহত সাজ্জাদ হোসেন পেকুয়া উপজেলা সদরের কিল্লাঘোনা এলাকার আবুল হোসেন পুতুর ছেলে।
ওসি হাবিবুর রহমান জানান, চম্পা হত্যার মূল আসামী সাজ্জাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অস্ত্র উদ্ধারে কোনাখালী এলাকায় গেলে তার লোকজনকে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও সাজ্জাদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
প্রসঙ্গত যে, গত ৬মে সিএনজিতে করে চম্পা বেগম চট্টগ্রাম শহর থেকে নিজ বাড়ি খরুলিয়ায় ফিরছিলেন। রাত আনুমানিক ১০ টার দিকে চকরিয়া মরংঘোনা এবিসি মহাসড়কে চলন্ত গাড়ি থেকে তাকে ছুঁড়ে ফেলে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। ওই দিন রাত ১১ টায় চম্পার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে জানা যায়, তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। নিহত চম্পা বেগম (১৯) কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা ইউনিয়নের খরুলিয়ার নয়াপাড়ায় এলাকার রুহুল আমিনের মেয়ে।
এ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে জয়নাল (১৮) নামের একজনকে আটক করে র্যাব -১৫ এর সদস্যরা। ঘটনার পরদিন ৭ মে সিএনজি চালক আটকের পরদিন হত্যাকান্ডের ঘটনা উদঘাটন করে র্যাব-১৫। জব্দ করা হয় সেই সিএনজিও। এ ঘটনার মূল হোতা সাজ্জাদকে ১১ মে সকালে পুলিশে দেয় জনতা। পরে তাকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চালায় পুলিশ।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১২মে, ২০২০)