দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ঢাকার আজিমপুর কবরস্থানে বাবার কবরে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তার দাফন সম্পন্ন হয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে দেশবরেণ্য এই শিক্ষাবিদের দাফন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আল মারকাজুল ইসলাম।

কবরস্থ করার আগে ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে গার্ড অব অনার দেয়া হয়।

বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টা ৫৫ মিনিটে ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।

গত ২৭ এপ্রিল গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় অধ্যাপক আনিসুজ্জামানকে রাজধানীর মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় শনিবার তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে চিকি’সাধীন অবস্থায় গতকাল না ফেরার দেশে চলে যান দেশবরেণ্য এই শিক্ষাবিদ। তিনি হার্টের সমস্যার পাশাপাশি কিডনি, ফুসফুস ও শ্বাসযন্ত্রের জটিলতায় ভুগছিলেন।

জাতীয় এই অধ্যাপকের মৃত্যুর পর তার ছেলে আনন্দ জামান জানিয়েছিলেন, করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এলে শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় বাংলা একাডেমিতে মরদেহ নেওয়া হবে। সেখানে ঘণ্টাখানেক রাখার পর বাদ জুমা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। সেখান থেকে আজিমপুরে বাবার কবরে খ্যাতিমান এই শিক্ষাবিদকে শায়িত করা হবে।

কিন্তু নমুনা পরীক্ষায় করোনা টেস্ট পজেটিভ আসায় বাংলা একাডেমিতে মরদেহ না নিয়ে সকাল ১০টার দিকে দাফন করা হয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামানকে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৫মে, ২০২০)