দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম ধ্বংসাত্মক ঘূর্ণিঝড় সিডরকে ছুঁয়ে ফেলল অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। ব্যাপক শক্তি অর্জন করেছে আম্ফান। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৮৫ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২১০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সিডরও অনেকটা এই গতিরই ছিল বলে জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা।

এর আগে বলা হয়েছিল, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২২৪ কিলোমিটার এবং ২০০৭ সালের ঘূর্ণিঝড় সিডরের সর্বোচ্চ গতিবেগ ২২৩ কিলোমিটার। এই ঘূর্ণিঝড় সরাসরি সরাসরি বাংলাদেশ ভূখণ্ডে আঘাত হানতে পারে বলে আগেই পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে অতিসত্ত্বর নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে থাকতে বলা হয়েছে আবহাওয়া অধিদফতরের নির্দেশনায়।

১৮ মে দুপুর ১২টার তথ্য বিশ্লেষণ করে বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে,  দক্ষিণপূর্ব বঙ্গেপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গেপসাগর এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় আম্ফান উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে বর্তমানে পশ্চিম মধ্য বঙ্গেপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে।

এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তর দিকে অগ্রসর হতে পারে এবং পরবর্তীতে দিক পরিবর্তন করে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে খুলনা ও চট্টগ্রামের মধ্যবর্তী অঞ্চল দিয়ে ১৯ মে শেষরাত থেকে ২০ মে বিকাল/সন্ধ্যার মধ্যে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৮মে, ২০২০)