সাতক্ষীরায় ১৪৮ কিমি গতিতে আঘাত, ২০ গ্রাম প্লাবিত
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরায় দ্বিতীয় আঘাত হেনে দাপট দেখিয়ে চলেছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। প্রবল বর্ষণে বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে ২০ গ্রাম।
ঝড়ের আঘাতে সাতক্ষীরা সদর থানার কামালনগরে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অসংখ্য কাঁচা ঘরবাড়ির। ভেঙেছে গাছ, বিদ্যুতের খুঁটি।
এদিকে আশাশুনি উপজেলার খোলপেটুয়া ও কপোতাক্ষ নদীর নয় পয়েন্ট ভেঙে গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। খোলপেটুয়ার দয়ারঘাট ও হিজলা এবং প্রতাপনগরে কপোতাক্ষের কুড়িকাউনিয়া, দিঘলাইট, সুভদ্রকাঠি, হরিসখালী, চাকলা, বন্যতলাসহ মোট ৯ পয়েন্টে ভাঙন দেখা দিয়েছে। আম্ফানের প্রভাবে সাতক্ষীরায় দিনভর বৃষ্টি হয়েছে। দুপুরে ঝড়ো হাওয়া উঠতে থাকে। বিকেল ৪টায় প্রথম আঘাতের পর জোরালো দমকা হাওয়া বইছিল এবং নদ-নদীর পানি আছড়ে পড়ছিল বেড়িবাঁধের ওপর।
শ্যামনগর ও আশাশুনির বিভিন্ন ইউনিয়নের বিশেষ করে গাবুরা, পদ্মপুকুর, বুড়িগোয়ালিনী, প্রতাপনগর, আনুলিয়া, খাজরা ও শ্রীউলা ইউনিয়নে ৪৫টিরও বেশি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভাঙনের ঝুঁকিতে ছিল। এরই মধ্যে শ্যামনগরের গাবুরা, পদ্মপুকুর, বুড়িগোয়ালিনী, প্রতাপনগর, খাজরা ও কালিগঞ্জের মথুরেশপুরে নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে। নদীগুলো হয়ে উঠেছে উত্তাল। এসব নদী এখন ক্ষিপ্র রাক্ষুসীর রূপ নিয়েছে।
ঝুঁকির মধ্যে থাকা ২ লাখ ৮৯ হাজার মানুষকে ১৮৪৫টি সাইক্লোন শেল্টার ও বিভিন্ন স্কুল কলেজের আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে আনা হয়েছে। একই সঙ্গে ২৯ হাজার গবাদি পশুর জীবন রক্ষায়ও এসব আশ্রয়কেন্দ্রে আনা হয়েছে।
সুন্দরবনের সীমান্ত নদী কালিন্দী ও মাদার নদীর পানি ফেঁপে বনে ছড়িয়ে পড়েছে। এদিকে উপকূলীয় এলাকার শত শত চিংড়িঘের ভেসে গেছে। ঘেরের ছোট ছোট রিং বাঁধ ভেঙে গেছে। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশংকা দেখা দিয়েছে বলে চিংড়ি চাষিরা জানিয়েছেন।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২১মে, ২০২০)