কমছেই না যাত্রীর চাপ, পারের অপেক্ষায় কয়েক শ গাড়ি
মাদারীপুর প্রতিনিধি: ঈদুল ফিতরের আর মাত্র একদিন বাড়ি। রাত পোহালেই সারাদেশে পালিত হবে ঈদুল ফিতর। স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে কয়েকদিন ধরেই ঘরের পানে ছুটছেন মানুষ। করোনার ঝুঁকি নিয়েই বাড়ি ফিরছেন তারা। যার ফলে মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌ রুটে ঈদে ব্যক্তিগত গাড়ি ও যাত্রীদের চাপ বেড়েছে কয়েকগুণ। পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে কয়েক শ যানবাহন।
সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ থাকায় ফেরিতে ভিড় করছেন যাত্রীরা। ঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই ঢাকা থেকে বিভিন্ন উপায়ে তিন থেকে ৪ গুণ অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ফেরিঘাটে আসছেন যাত্রীরা। পরে পাড়ি দিচ্ছেন নদী।
ঘাটের উভয়পাড়ে ব্যক্তিগত গাড়ি ও পণ্যবাহী যানবাহনের চাপ বেড়েছে। পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে ছোটবড় কয়েক শ যানবাহন। যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় ১৭টি ফেরির মধ্যে ১৩ থেকে ১৪টি ফেরি দিয়ে পারাপার করা হচ্ছে।
এদিকে ফেরিতে কাঁঠালবাড়ি ঘাটে এসে বিপাকে পড়ছে যাত্রীরা। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় কেউ কেউ পায়ে হেঁটে আবার কেউ ছোট যানবাহনে ৩ থেকে ৪ গুণ অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে নিজ নিজ গন্তব্যে ছুটছেন।
দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ রাজধানী ঢাকার সাথে যাতায়াতের জন্য মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌ রুট ব্যবহার করেন। স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন ৩০ হাজার মানুষ যাতায়াত করলেও ঈদে এর সংখ্যা বেড়ে যায় কয়েকগুণ।
এবার করোনার প্রাদুর্ভাব এড়াতে দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। কিন্তু ফেরিতে করেই অনেকটা গাদাগাদি করে পদ্মা নদী পার হচ্ছেন মানুষ। ফলে গ্রামের করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২৪মে, ২০২০)