৯ ঘণ্টার ব্যবধানে বিএনপির সাবেক দুই এমপির মৃত্যু
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: নয় ঘণ্টার ব্যবধানে না ফেরার দেশে চলে গেলেন বিএনপির সাবেক দুই সংসদ সদস্য। তাদের একজন বাংলাদেশ সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভার যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির সাবেক এমপি মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম মনজুর। অন্যজন চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) আসনের চারবারের সাবেক এমপি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এম এ মতিন।
সোমবার দিবাগত রাত ১১টা ৫০মিনিটে ঢাকার এভার কেয়ার হাসপাতালে (সাবেক এপোলো) বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান মঞ্জুর। আর মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে উত্তরার রেডিক্যাল হাসপাতালে মারা যান এম এ মতিন।
সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম মঞ্জুরের তৃতীয় ছেলে আহমেদ সোহেল মনজুর সুমন জানান, তার পিতা বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন। ১৪ দিন আগে তাকে এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার রাতে সেখানে মারা যান তিনি। মঞ্জুর স্ত্রী, ৪ছেলে, ৩ মেয়েসহ অসংখ্যা গুণগ্রাহী রেখে গেছে।
নুরুল ইসলাম মনজুর ১৯৯৬ সালে ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হিসেবে পিরোজপুর-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। এর আগে এমএনএ ছিলেন।
১৯৯৯ সালে কে এম ওবায়দুর রহমান এবং শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনের সাথে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার জেল হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করেছিল। তাদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ১০৯ জন সংসদ সদস্য। ২০০৪ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ক্ষমতায় থাকাকালীন আদালত তাকে এ অভিযোগ থেকে খালাস করে দেয়।
মঞ্জুর ২০০১ সালে অষ্টম ও ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে পিরোজপুর-২ আসনে প্রার্থী হয়ে পরাজিত হয়েছিলেন।
তার তৃতীয় ছেলে আহমেদ সোহেল মনজুর সুমন পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। নুরুল ইসলাম মনজুর স্ত্রী ডা. সুফিয়া বেগম স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক হিসেবে অবসর নেন।
মরহুমের মরদেহ গুলশানের ৮৮ নম্বর সড়কে তার নিজ বাড়িতে নেওয়া হয়েছে। বাদ আছর গুলশান সোসাইটি মসজিদে জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।
সকাল নয়টায় মারা যান এম এ মতিন
নুরুল ইসলাম মঞ্জুর মৃত্যুর নয় ঘণ্টা পর মারা যান বিএনপির আরেক সাবেক সংসদ সদস্য এম এ মতিন। মঙ্গলবার সকাল নয়টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বিএনপির চারবারের এই সংসদ সদস্য।
এম এ মতিনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার।
জানা যায়, এক সপ্তাহ আগে উত্তরার নিজ বাসায় ব্রেন স্ট্রোক করলে এম এ মতিনকে উত্তরা রেডিক্যাল হাসপাতালে সিসিইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বিএনপি সরকারের সময়ের পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মতিন।
তার বয়স হয়েছিলো ৮৭ বছর। তিনি এক ছেলে এবং চার মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। হাসপাতালে তার করোনা পরীক্ষা করা হলে রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।
আজই মরদেহ হাজীগঞ্জে নেয়া হবে। স্থানীয়ভাবে জানাজা শেষে টোরাগড় মুন্সিবাড়ীতে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২৬মে, ২০২০)