চলে গেলেন ‘আবাহনীর হেলাল’
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ওপেন হার্ট সার্জারির পর কিডনি ডায়ালাইসিসও করতে হচ্ছিল তার। এর ওপর গত বৃহস্পতিবার ব্রেন স্ট্রোক হলে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ছিলেন গোলাম রাব্বানী হেলাল। জীবনযুদ্ধের লড়াইয়ে আর পেরে উঠলেন না সাবেক তারকা ফুটবলার। আজ (শনিবার) সকালে ৬৩ বছর বয়সে না ফেরার দেশে চলে গেছেন ‘আবাহনীর হেলাল’।
হেলাল ভর্তি ছিলেন রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে। ব্রেন স্ট্রোকের পর বাংলাদেশের ‘সোনালি প্রজন্মের’ এই ফুটবলারকে রাখা হয়েছিল লাইফ সাপোর্টে। কিন্তু অবস্থার উন্নতি আর হয়নি। আজ সকাল ১১টা ৫০ মিনিটে খুলে নেওয়া হয় তার লাইফ সাপোর্ট। হেলালের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন তার বড় ভাইয়ের ছেলে গোলাম কাইফি।
ডায়ালাইসিস করার জন্য নিয়মিত হাসপাতালে যেতে হতো হেলালকে। গত বৃহস্পতিবার সেভাবে প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু হঠাৎ করে সকালের খাবারের পর জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। দ্রুতই রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সেখানেই পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যায় স্ট্রোক হয়েছে হেলালের।
‘আবাহনীর হেলাল’ নামে পরিচিত গোলাম রাব্বানী বেশ কিছু দিন ধরেই ছিলেন অসুস্থ। ২০১৭ সালে তার ওপেন হার্ট সার্জারি হয়েছিল। ব্যাংককে উন্নত চিকিৎসাও নিয়েছেন তিনি। এছাড়া কিডনির জটিলতার কারণে ডায়ালাইসিসও চলছিল তার।
বরিশাল থেকে উঠে এসে ঢাকা আবাহনীর হয়ে বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবল মাতিয়েছেন এই সুদর্শন ফুটবলার। ১৯৭৫ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত খেলেছেন আবাহনীতে। মাঝে অবশ্য কিছুদিন বিজেএমসিতেও ছিলেন। ১৯৭৯ সাল থেকে ১৯৮৫ পর্যন্ত খেলেছেন জাতীয় দলে। খেলা ছেড়ে আবাহনী লিমিটেডের পরিচালকও হয়েছেন। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সদস্য ছিলেন তিনি।
বাংলাদেশের ফুটবলের একটি নেতিবাচক অধ্যায় হয়তো অনন্তকালই জেগে থাকবে হেলালের নামের সঙ্গে। ১৯৮২ সালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে (তৎকালীন ঢাকা স্টেডিয়াম) ফুটবল খেলতে গিয়ে জেলে যাওয়া আবাহনীর চার ফুটবলারের একজন তিনি। তার সঙ্গে জেলে গিয়েছিলেন কাজী সালাউদ্দিন, আশরাফউদ্দিন চুন্নু ও কাজী আনোয়ার।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/৩০মে, ২০২০)