তিন মাসের বিদ্যুৎ বিলের বিলম্ব ফি দিতে হবে না
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: এবারের বাজেটে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে প্রায় ২৬ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ থাকছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। তিনি বলেন, এর মধ্যে ২৪ হাজার কোটি টাকা বিদ্যুতে ও ২ হাজার কোটি জ্বালানিতে বরাদ্দ থাকছে।
দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস রোধে বন্ধ করা হয় বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি অফিস আদালত। দেশজুড়ে চলে লকডাউন। দীর্ঘ এ ছুটির পর সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ কথা জানান বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, একটা সিদ্ধান্ত হয়েছিল যারা বিদ্যুৎ বিল দিতে পারেননি, তারা বিলম্ব ফি ছাড়া (মার্চ, এপ্রিল, মে) তিন মাসের বিল মে মাসে দিতে পারবেন। তবে জুনেও সেটা তারা দিতে পারবেন। মানে মাশুল মওকুফ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বিদ্যুৎ খাতে সঞ্চালন লাইনকে গুরুত্ব ও আর জ্বালানিতে গ্যাস অনুসন্ধানকে গুরুত্ব দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
জাতীয় সংসদে বৃহস্পতিবার (১১ জুন) আসন্ন ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এরইমধ্যে বাজেট উত্থাপনের প্রস্তুতি নিয়েছে অর্থমন্ত্রণালয়।
সস্প্রতি অর্থমন্ত্রণালয়ের বাজেট শাখার অতিরিক্ত সচিব মো. হাবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি চিঠি সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে পাঠানো হয়েছে।
অর্থমন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১১ জুন জাতীয় সংসদে আসন্ন ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট উত্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী। আসন্ন বাজেটের সম্ভাব্য আকার ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা। যা চলতি অর্থবছরের চেয়ে ৫ শতাংশ বেশি। ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাজেটের আকার ছিল ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা।
এর আগে সংসদে মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠকে ২০২০-২০২১ অর্থবছরের বাজেট অনুমোদন দেয়া হবে। প্রতিবছরই বাজেট পেশ করার আগে মন্ত্রিসভার অনুমোদন নেয়ার সুবিধার্থে জাতীয় সংসদ ভবনে মন্ত্রিসভার বৈঠ আয়োজন করা হয় এবং রাষ্ট্রপতির সুপারিশ নেয়ার সুবিধার্থে সংসদ ভবনে তার উপস্থিতির ব্যবস্থা নেয়া হয়।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, অর্থবিভাগ ২০২০-২১ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) জন্য ২ লাখ ৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকার প্রস্তাবনা পাঠিয়েছে। যা চলতি অর্থবছরের চেয়ে ৬ শতাংশ বেশি। এ উন্নয়ন বরাদ্দের মধ্যে সরকারের নিজস্ব অর্থ ১ লাখ ৩৪ হাজার ৬৪৩ কোটি টাকা ও বিদেশি সাহায্যের পরিমাণ ধরা হয়েছে ৭০ হাজার ৫০২ কোটি টাকা।
এছাড়া আগামী অর্থবছরের বাজেটে খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টিও সামনে রাখা হবে। করোনা ভাইরাসের কারণে হঠাৎ চাকরি হারানো লাখ লাখ মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা কিভাবে কম খরচে নিশ্চিত করা যায়, সে বিষয়টিও ভাবছে সরকার। এজন্য এরই মধ্যে করোনা মোকাবিলায় কৃষিখাতে প্রণোদনার ঘোষণা দিয়েছে সরকার।
পাশাপাশি জনগণের অর্থনৈতিক সঙ্কট কাটিয়ে ওঠার লক্ষ্য নিয়ে আগামী অর্থবছরের বাজেটে শারীরিক নিরাপত্তার কর্মসূচিকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নে ৯৫ হাজার ৬১৯ কোটি টাকাও বাজেট থেকে ব্যয় করা হবে। যা অভ্যন্তরীণ বা সামষ্টিক মোট উৎপাদনের ৩ দশমিক ৫ শতাংশের সমান।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/৩১মে, ২০২০)