রাস্তায় মারধর কি এতই সহজ, প্রশ্ন সাব্বিরের
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: আবারও নেতিবাচক খবরের শিরোনাম ক্রিকেটার সাব্বির রহমান। রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) এক পরিচ্ছন্নকর্মীকে তিনি পিটিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে নতুন করে শুরু হয়েছে সমালোচনা। তবে সাব্বির রহমান প্রশ্ন তুলেছেন, রাস্তায় কাউকে মারধর করা কি এতই সহজ?
তিনি বলেন, পরিচ্ছন্নকর্মীর সঙ্গে তার কথা কাটাকাটির বেশি কিছুই হয়নি। তিনি পরিচ্ছন্নকর্মীর গায়ে হাত তোলেননি। কিন্তু তার ‘শত্রুর’ অভাব নেই। তারা তিলকে তাল বানিয়ে প্রচার করছেন, যেন তার ক্যারিয়ার হুমকির মুখে পড়ে।
সাব্বিরের বর্ণনা মতে, রবিবার বিকালে তিনি এবং তার স্ত্রী গাড়িতে চড়ে বাইরে থেকে আসেন। এ সময় তার বাড়ির সামনে সিটি করপোরেশনের ময়লা নিয়ে যাওয়ার একটি ভ্যান দাঁড়িয়ে ছিল। যার কারণে তিনি বাসায় গাড়ি নিয়ে ঢুকতে পারছিলেন না। দুই মিনিট ধরে হর্ন দেয়ার পর আসেন পরিচ্ছন্নকর্মী বাদশা। তখন তার সঙ্গে শুধু কথা কাটাকাটি হয়েছে বলে দাবি সাব্বিরের।
তিনি বলেন, আমি দেখলাম ভ্যান রেখে বাদশা দূরে একজনের সঙ্গে গল্প করছে। দুই মিনিট হর্ন দেয়ার পর সে এলো। তখনও গাড়ির কালো গ্লাসের কারণে সে আমাকে চিনতে পারেনি। হর্ন দিয়ে ডাকার কারণে সে বিড় বিড় করে কিছু একটা বলছিল আর চোখ রাঙাচ্ছিল। গ্লাস নামিয়ে আমি বললাম, তুমি যে এভাবে ভ্যান বাড়ির সামনে রেখে দূরে গল্প করছ তাতে তো আমি ঢুকতে পারছি না। সে বলল, দুই-এক মিনিটে কী আসে যায়! আমি বললাম, দুই মিনিটে মানুষের জীবন চলে যায়। গাড়িতে যদি কোনো পেসেন্ট বা বৃদ্ধ মানুষ থাকত- তাহলে কি আটকে থাকতাম? এরপর বাদশাই উত্তেজিত হয়ে পড়ে। তখন আমি গাড়ি থেকে নামি এবং কথা কাটাকাটি হয়।
সাব্বির বলেন, মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি। মাঝ রাস্তায় কাউকে কি মারধর করা এতই সহজ? আর বাদশা আমার পরিচিত। আমি তাকে ব্যক্তিগতভাবে সহযোগিতা করি। লকডাউন চলা অবস্থায় তাকে ডেকে টাকা দিয়েছি। কিন্তু তার কাছ থেকে এমন আচরণ আমি প্রত্যাশা করিনি। ঘটনা কিছুই না, কিন্তু আমার শত্রুর অভাব নেই। তারা বিষয়টাকে বড় করার চেষ্টা করছে, যেন এক সময় সবাই বলে দোষ সাব্বিরেরই। কিন্তু আগে যা করেছি, ছোট ছিলাম। এখন কেন এসব করতে যাব! গরিব মানুষকে মেরে লাভ আছে?
এদিকে রবিবার বিকালের ওই ঘটনার পর পরিচ্ছন্নকর্মীরা ঘোষণা দিয়েছেন সাব্বির রহমান দুঃখ প্রকাশ না করা পর্যন্ত তার বাসার ময়লা নিয়ে যাবেন না।
দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সাব্বির বলেন, স্যরি বলাটা তো বড় বিষয় না। কিন্তু কথা কাটাকাটির পর তারা ১০০ জন আমার বাসার সামনে এসে আমাকে থ্রেট দিয়ে গেছে। আমার বাবাকে থ্রেট দিয়েছে। দেশের মানুষের কাছে কি এটাই আমার প্রাপ্য?
সাব্বির জানিয়েছেন, বিষয়টি তিনি সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন এবং পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) একেএম হাফিজ আক্তার এবং স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর নিযাম-উল-আযীমকে জানিয়েছেন। তারা সমাধান করে দিতে চেয়েছেন। তারা সমাধান করে দিতে চেয়েছেন।
প্রসঙ্গত, রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে ২০১৭ সালের ২১ ডিসেম্বর ‘ম্যাও’ বলে ডাকার কারণে এক কিশোরকে মারধর করেছিলেন সাব্বির রহমান। এ কারণে ছয় মাসের জন্য জাতীয় দল থেকে বহিষ্কার হয়েছিলেন তিনি। তারপর ফিরেছেন জাতীয় দলে। কিন্তু এবার তাকে নিয়ে নতুন বিতর্ক শুরু হলো।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০১জুন, ২০২০)