রফিকের অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন সুজন
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: খেলা ছেড়েছেন বহু আগে। ক্রিকেটকে কেন্দ্র করে আয়-রোজগার এখন নেই বললেই চলে। ব্যক্তিগত ব্যবসা নিয়েই ব্যস্ত কিংবদন্তি ক্রিকেটার মোহাম্মদ রফিক। তবুও মানুষের জন্য কাজ করে যাওয়ার অদম্য স্পৃহা এখনো রয়ে গেছে আগের মতই।
এখনো বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম সেরা বাঁহাতি স্পিনার ধরা হয় মোহাম্মদ রফিককে। বাংলাদেশের প্রথম আন্তর্জাতিক ওয়ানডে জয়ের নায়ক তিনি। সেই ম্যাচে ৭৭ রানের ইনিংস খেলে হয়েছেন ম্যাচসেরা। সেই রফিক তখন ছিল বাংলাদেশের দলের একমাত্র ভরসা। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশ ক্রিকেটে উপেক্ষিত সেই রফিক। ১২ বছর ধরে বিসিবির কোন কাজে নেই তিনি। বলা ভালো, বিসিবিই কাছে লাগাচ্ছে না দেশের সেরা এই বাঁহাতি স্পিনারকে।
বাংলাদেশের প্রথম আন্তর্জাতিক ওয়ানডে জয়ের নায়ক জানালেন, ১২ বছর চলে গেলেও শেষপর্যন্ত তার বিসিবিতে তার কোনো কোচের চাকরি হয়নি।
রফিকের এমন মন্তব্যের পর চারদিকে সমালোচনার ঝড় বইতে শুরু করে দেশের ক্রিকেটাঙ্গনে। তবে রফিকের এক সময়ের সতীর্থ এবং বর্তমানে বিসিবির পরিচালক ও গেম ডেভলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজন রফিকের অভিযোগ পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছেন। সুজন জানিয়েছেন, বিসিবি রফিককে কাজ করার অনুরোধ জানিয়েও নাকি পায়নি। আর রফিকের এমন অভিযোগ শুনে রীতিমত বিস্মিত হয়েছেন সুজন।
রফিকের অভিযোগ উড়িয়ে খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, ‘আমি তার সঙ্গে দীর্ঘদিন খেলেছি। রফিক কত বড় মাপের স্পিনার, কত ডেডিকেটেড ক্রিকেটার ও গ্রেট ফাইটার- এসব আমার খুব ভাল জানা। পারফরমার রফিকের বিষয়ে আমি শতভাগ শ্রদ্ধাশীল। আমিও চাই মোহাম্মদ রফিকের মত ট্যালেন্টরা নিজের মেধা কাজে লাগিয়ে কোচিংয়ে আসুক এবং বিসিবির কোচ হিসেবে কাজ করুক। তাতে দেশের ক্রিকেটের লাভ হবে। কিন্তু অনেকেরই জানা নেই যে, রফিককে আমরা বিভিন্ন সময় বোর্ডের কোচিং প্যানেলে যোগ দিতে বলেছি এবং প্রস্তাবও দিয়েছি বোর্ডের কোচ হতে। কিন্তু কঠিন সত্য হলো, সে রাজি হয়নি। অথচ আমি খুব অবাক হলাম শুনে যে রফিক অভিযোগ করেছে, সে নাকি গত ১২ বছর ধরে বিসিবিতে কোচের চাকরি চেয়ে পায়নি!’
রফিকের অভিযোগ নিয়ে সুজন বলেন, ‘রফিক বোর্ডে আসার পর ব্যস্ততার অজুহাত দেখিয়ে তার সঙ্গে দেখা না করার অভিযোগটা আমি মানতে পারছি না। রফিক কারও নাম উল্লেখ করে বলুক, অমুকে বোর্ডে থেকেও, তার সঙ্গে দেখা না করে পরে আসতে বলেছে, তাহলে বুঝতাম। জানি না কার কথা বলেছে। বোর্ডে আমরা এখন যে তিন পরিচালক রফিকের সতীর্থ ক্রিকেটার হিসেবে দীর্ঘদিন একসঙ্গে খেলেছি সেই আকরাম ভাই, নাইমুর রহমান দুর্জয় আর আমি বোর্ডে থেকে রফিকের সঙ্গে দেখা না করে ব্যস্ত বলে কাটিয়ে দেব- এটা অসম্ভব! হতেই পারে না। আমি কখনওই এ কথা বিশ্বাস করতে চাই না।’
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০৮জুন, ২০২০)