দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: দেশের ক্রিকেটকে যতোটা এগিয়ে নিয়েছেন টাইগার ক্রিকেটাররা ঠিক ততোটাই বিশ্ব দরবারে তুলে ধরছেন সাংবাদিকরা। ফলে মহৎ এই পেশার লোকদের সাথে খেলোয়াড়দের মধুর একটা সম্পর্ক বিরাজ করে সবসময়। কিন্তু কাগজ-কলম হাতে পেয়ে শব্দের অতিমাত্রার ব্যবহারে রসালো সংবাদ তৈরির বিপক্ষে বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।

অন্তঃসত্ত্বা ইতি খানমকে নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দেয় স্বামী তিতাস কাজি। ঘটনাটি জানতে পেরে নড়াইল-২ আসনের এমপি মাশরাফি বিন মুর্তজা নির্যাতিতার পাশে দাঁড়ান এবং স্বামীর বাড়িতে ফেরত পাঠান তাকে।

ঘটনাটি দেশের একটি জনপ্রিয় অনলাইন ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল ‘স্ত্রীকে রাস্তায় ফেলে গেলেন মাশরাফি, কাছে টেনে নিলেন মাশরাফি’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশ করে। অরুচিকর এই শিরোনামে ক্ষোভ প্রকাশ করেন খোদ মাশরাফি।

নিজের ফেসবুক ভেরিফায়েড পেইজে মাশরাফি লিখেন, ‘কি সুন্দর শিরোনাম! সাংবাদিকতার উচ্চ পর্যায়।’

অতিরঞ্জিত শিরোনামের বিরোধিতা করে মাশরাফি বলেন, ‘যারা বছরের পর বছর এই পেশাটাকে শুধু পেশা হিসেবেই না; বরং সর্বোচ্চ সম্মানের সাথে করে আসছেন উনারাও এসব দেখে লজ্জা পাবেন বোধয়।’ যদিও মাশরাফির ফেসবুক পোস্টের পর সংবাদমাধ্যমটি নিজেদের শিরোনাম বদলে দিয়েছে।

সম্প্রতি অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ইতি খানমকে নির্যাতন করে রাস্তায় ফেলে যান স্বামী তিতাস কাজি। অচেতন হয়ে রাস্তায় পড়েছিলেন ইতি। পরে জাতীয় জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানায় স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে পুলিশ। এরপর থেকে স্বামী, শ্বশুরবাড়ি কিংবা বাবারবাড়ির কেউ খোঁজখবর নেয়নি ইতির।

ঘটনার দিন থেকে ফোন নম্বর বন্ধ করে পালিয়ে গেছেন ইতির স্বামী তিতাস কাজি। এ অবস্থায় ইতি পুলিশকে জানান স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করতে রাজি নন; তিনি স্বামীর সংসার করতে চান। তার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এমপি মাশরাফির নির্দেশে সোমবার বিকেলে স্বামীর বাড়িতে ইতিকে দিয়ে আসে পুলিশ।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০৯জুন, ২০২০)