দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: প্রায় ১১ বছর পর ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের মূল মার্কেটে পুনরায় তালিকাভুক্ত হতে যাচ্ছে ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেটের কোম্পানি সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস।

সম্প্রতি ডিএসইর পর্ষদ সভায় কোম্পানিটির পুনঃতালিকাভুক্তির অনুমোদন দেওয়া হয়। ডিএসই’র মতো কোম্পানিটিকে পুনঃতালিকাভুক্তির অনুমোদন দেওয়ার জন্য সিএসই প্রস্তুতি শেষ করেছে।

সোনালী পেপারকে ডিএসইতে পুনঃতালিকাভুক্তির অনুমোদন দেওয়া হলেও, লেনদেন চালুর বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। লেনদেনের তারিখ ধার্য করতে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে ডিএসই সূত্রে জানা গেছে।

পুঁজিবাজারের মূল মার্কেটে ফিরতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) আবেদন করে সোনালী পেপার। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বেশ কিছু ধারা থেকে অব্যাহতি দিয়ে গত ২৭ নভেম্বর ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের মূল বাজারে পুনঃতালিকাভুক্তির অনুমোদন দেয় বিএসইসি।

উৎপাদন বন্ধ থাকা ও বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) না করাসহ পাঁচ কারণ দেখিয়ে ২০০৯ সালের ১ অক্টোবর সোনালী পেপারকে মূল মার্কেটের তালিকাচ্যুত করে ওটিসি মার্কেটে পাঠানো হয়। তালিকাচ্যুতির অন্য তিন কারণ হলো— ধারাবাহিক লোকসান, শেয়ারহোল্ডারদের নিয়মিত লভ্যাংশ না দেওয়া এবং কাগুজে শেয়ার ইলেকট্রনিকে রূপান্তর না করা।

মূল মার্কেটে ফিরতে যেকোনো কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি টাকা থাকার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। একইসঙ্গে ধারাবাহিক ৩ বছর মুনাফায় থেকে শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দিতে হয়। তবে, সোনালী পেপারকে এই দুটি শর্ত থেকে অব্যাহতি দিয়েছে বিএসইসি। তালিকাচ্যুতির সময় কোম্পানির শেয়ারের যে দর ছিল, এখন মূল মার্কেটে লেনদেনের প্রথম দিন থেকে সেই দরে কেনাবেচার সুযোগ দিয়েছে বিএসইসি। ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের সোনালী পেপারের শেয়ার ওটিসিতে সর্বশেষ ২৭৩ টাকায় কেনাবেচা হয়।

এ বিষয়ে সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলসের কোম্পানি সচিব রাশেদুল হোসাইন বলেন, ‘‘মূল মার্কেটে ফিরতে আমাদের শতভাগ প্রস্তুতি রয়েছে। এখন যে কোনো সময় মূল মার্কেটে লেনদেন চালু হবে।’’

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিএসই’র একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘‘পর্ষদ সভায় সোনালী পেপারের পুনঃতালিকাভুক্তির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে লেনদেন চালুর তারিখ নির্ধারণের কাজ চলছে।’’

ডিএসই’র মতো পুনঃতালিকাভুক্ত করতে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে সিএসই’র একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন।

সোনালী পেপার ১৯৭৭ সালে ব্যবসা শুরু করে। ১৯৮৫ সালে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ১৫ কোটি ১২ লাখ টাকা। এর মধ্যে উদ্যোক্তাদের শেয়ার রয়েছে ৬৯ দশমিক ৩ শতাংশ। ২০১৮-১৯ হিসাব বছরে এ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ১৯ পয়সা। আর ২০১৯-২০ হিসাব বছরের অর্ধবার্ষিকে ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৮ পয়সা। কোম্পানিটির সর্বশেষ সমাপ্ত হিসাব বছরে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩৩৬ টাকা ৯০ পয়সা।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১০জুন, ২০২০)