দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: চীনের উহান থেকে শুরু হওয়া প্রাণসংহারি ভাইরাস করোনার তাণ্ডব থামছেই না। অচেনা এই ভাইরাসটি প্রতিদিনই কেড়ে নিচ্ছে শত শত প্রাণ। আক্রান্তের সারিও প্রতিদিন দীর্ঘ হচ্ছে। কোভিড-১৯-এ বিশ্বজুড়ে এখন আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ৭৪ লাখ ছাড়িয়েছে। এই সংখ্যায় পোঁছাতে ভাইরাসটির সময় লেগেছে সাড়ে পাঁচ মাস। এই সময়ে প্রাণঘাতী ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে চার লাখ ১৯ হাজারের মতো মানুষের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে গতকাল একদিনেই মারা গেছেন ৫২৪৩ জন। একই সময়ে একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৩৩ হাজার ৮৩৩ জন।

করোনাভাইরাসের পরিসংখ্যান সরবরাহ করা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার জানায়, বুধবার সকাল আটটা পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে ৪ লাখ ১৮ হাজার ৮৯১ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৪ লাখ ৫১ হাজার ৯৫৭ জন। আর সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩৭ লাখ ৩৩ হাজার ৪০১ জন।

চীন উহান শহর থেকে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু। এরপর ইউরোপে তাণ্ডব চালায় প্রাণঘাতী এ ভাইরাস। তবে এখন ভাইরাসটির সংক্রমণের কেন্দ্র দক্ষিণ এশিয়া ও আমেরিকা। আক্রান্ত ও মৃত্যুতে দীর্ঘদিন ধরে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

করোনাভাইরাসের আক্রমণে সবচেয়ে বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ২০ লাখ ৬৬ হাজার ৪০১। দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার ১৩০ জনের। আক্রান্ত ও মৃত্যুর তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের ধারেকাছে নেই কোনো দেশ।

করোনায় শনাক্ত মানুষের সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের পরপরই রয়েছে লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। সেখানে এখন মোট আক্রান্ত ৭ লাখ ৭৫ হাজার ১৮৪। দেশটিতে করোনায় মৃত্যু ৪০ হাজার ছুঁই ছুঁই করছে। দেশটিতে করোনায় মোট ৩৯ হাজার ৭৯৭ জন মারা গেছেন।

করোনা রোগী শনাক্তের দিক দিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে রাশিয়া। দেশটিতে ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৬৫৭ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৬ হাজার ৩৫৪ জনের।

যুক্তরাজ্যজুড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত মানুষের সংখ্যা প্রতিনিয়ত কমছে। দেশটিতে মোট ২ লাখ ৯০ হাজার ১৪৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৪১ হাজার ১২৮ জনে।

এদিকে বাংলাদেশ ও ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে করোনার সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ২ লাখ ৮৭ হাজার ১৫৫ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ৮ হাজার ১০৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।

বাংলাদেশের গতকাল পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭৪ হাজার ৮৬৫ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ১০১২ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ১৫ হাজার ৯০০ জন।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১১জুন, ২০২০)