দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: করোনাভাইরাসের মহামারীর বাস্তবতায় ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে দেশীয় শিল্প রক্ষায় গুরুত্ব দিয়ে বেশ কিছু পণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। অন্যদিকে মহামারীর দিনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিভিন্ন উপকরণসহ ওষুধের দাম কমানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বাজেটে।

বৃহস্পতিবার বিকালে আগামী অর্থ বছরের এই বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল। অর্থমন্ত্রী হিসেবে এটি তার দ্বিতীয় বাজেট।

দাম বাড়তে পারে যেসব পণ্যের

বাজেটে কিছু পণ্যের শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করায় এসব পণ্যের দাম বাড়বে। দেশীয় শিল্প রক্ষায় যে সকল পণ্যের আমদানি শুল্ক-কর বাড়ানো হয়েছে। ফলে যেসব পণ্যের দাম বাড়ছে সেগুলো হলো- আমাদনি করা দুধ, দুধজাত পণ্য, বডি স্প্রে, গাড়ি, গাড়ি রেজিষ্ট্রেশন ব্যয়, বিদেশি এসি, জুস, সাইকেল, বিদেশি মোটর সাইকেল, অনলঅইন কেনাকাটা, অনলাইন খাবার, বিদেশী টিভি, টায়ার, বিদেশী কসমেটিক, সিগারেট, ইন্টারনেট খরচ, মোবাইলে কথা বলঅর খরচ, রং, সোডিয়াম সালফেট, কম্প্রেসার শিল্প, স্ক্রু, বর্ণিশ, আয়রণ স্টিল,আমদানি করা চকলেট, আলোকসজ্জা, আমদানি করা অ্যালকোহল ইত্যাদি।

দাম কমতে পারে যেসব পণ্যের

বাজেটে ওষুধ উৎপাদনে ব্যবহৃত কাঁচামালে কর অব্যাহতি সুবিধা দেওয়া হয়েছে। ফলে ঔষুধের দাম কমছে। দাম কমবে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সরাঞ্জামসমূহের এর মধ্যে রয়েছে- আইসিইউ যন্ত্রপাতি, হ্যান্ড গ্লোভস, পিপিই, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, টেস্টিং কিট, সুরক্ষা চশমা ইত্যাদি।

এছাড়া স্বর্ণ, হস্তশিল্প যন্ত্রপাতি, কৃষি যন্ত্রপাতি, ইলেকট্রোনিক সিগন্যাল যন্ত্রপাতি, পোল্ট্রি, ডেইরি ইত্যাদির দাম কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ৬৮ হাজার ১৯০ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী। এটি দেশের ৪৯তম আর অর্থমন্ত্রী হিসেবে মুস্তফা কামালের দ্বিতীয় বাজেট।

করোনা মহামারীর বাস্তবতায় দাঁড়িয়ে মানুষের জীবন ও জীবিকা রক্ষার চ্যালেঞ্জ সামনে নিয়ে নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত এই ব্যয় বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ১৩ দশমিক ২৪ শতাংশ বেশি। টাকার ওই অংক বাংলাদেশের মোট জিডিপির ১৭ দশমিক ৯ শতাংশের সমান।

বিদায়ী অর্থবছরে বাজেটের আকার ছিল ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটের ১৮ শতাংশ বেশি এবং জিডিপির ১৮ দশমিক ৩ শতাংশের সমান।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১১জুন, ২০২০)