দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: সুশান্ত সিং রাজপুতের জীবনের শেষ ১২ ঘণ্টার কার্যকলাপ খুঁটিয়ে দেখছে মুম্বাই পুলিশ। পাশাপাশি, মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগে তিনি  যে ৪টে ফোন করেছিলেন সেইসব ফোনকলও ভাবাচ্ছে পুলিশকে।

রবিবার বান্দ্রার কার্টার রোড নিজের ফ্ল্যাটে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় উদ্ধার করা হয় কাই পে চে, পিকে-র নায়ককে। আপাতত সুশান্তের মৃত্যু ফাঁস লাগানোর ফলে শ্বাসরোধেই হয়েছে বলে ময়না তদন্তের রিপোর্টে বলা হচ্ছে। তবে তাঁর শরীরে কোনও বিষ রয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।

শনিবার রাত ১.৪৭ টার দিকে সুশান্ত ফোন করেছিলেন বান্ধবী রিয়া চক্রবর্ত্তীকে। কিন্তু ফোন ধরেননি রিয়া। তারপরেই সুশান্ত ফোন করেন ঘনিষ্ঠ বন্ধু মহেশ শেঠিকে। তিনিও ফোন ধরেননি। তোলেননি।

রবিবার সকালে সুশান্তের মৃত্যুর কিছুক্ষণ আগে ফোনে মিসড কল দেখে সুশান্তকে রিং ব্যাক করেন মহেশ। কিন্তু সুশান্ত সেই ফোন তোলেননি। পুলিশের কাছে মহেশ জানতে পারেন এদিন সকাল সাড়ে নটা নাগাদ সুশান্ত তাঁকে ফোন করেছিলেন।

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, ঘটনার দিন ব্রেকফাস্টের আগে সুশান্ত জুস খান। এদিন সাড়ে দশটা নাগাদ সুশান্তের পরিচারক কী রান্না হবে তা জানার জন্য সুশান্তের বেডরুমের দরজায় নক করেন। এদিন সুশান্তের ফ্ল্যাটে ছিলেন তাঁর এক বন্ধু। তিনি ঘুমাচ্ছিলেন অন্য একটি ঘরে। তিনি ঘুম থেকে ওঠেন সকাল ১১টায়। তিনিও সুশান্তের দরজায় নক করেন। কোনও সাড়া না পেয়ে তাঁর ফোনে রিং করেন। ফোনের আওয়াজ পাওয়া গেলেও দরজা খোলেননি সুশান্ত। এরপরই তাঁরা সুশান্তের বোন রীতুকে খবর দেন।

ফোন পেয়েই সুশান্তের ফ্ল্যাটে চলে আসেন রীতু। তিনি আবার তাঁর স্বামীকে বিষয়টি জানান। রীতুর স্বামী ঘটনা জানান মুম্বাইয়ের পুলিশ কমিশনার পরমবীর সিংকে। এদিন ১২টা ২৫ নগাদ সুশান্তের দরজা খোলা হয়। দেখা যায় সিলিংয়ের সঙ্গে গলায় দড়ির ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছেন।

এদিকে, মৃ্ত্যুর আগে মোট যে চারটি ফোন করেছিলেন সুশান্ত তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সুশান্তের বান্ধবী রিয়া চক্রবর্ত্তীকে জেরা করা হতে পারে। পাশাপাশি সুশান্তের মৃত্যুর আগের ১২ ঘণ্টায় তাঁর প্রতিটি কার্যকলাপ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৬জুন, ২০২০)