দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: করোনাভাইরাস মহামারির দাপট অনেকটা কমে এসেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। লক্ষাধিক মানুষের মৃত্যুর পর সেখানে করোনা সংক্রমণের হার কমতে শুরু করেছে। তবে শুরু থেকেই একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য করে এসেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার তিনি মন্তব্য করেছেন যে, করোনাভাইরাস শনাক্তের পরীক্ষা বেশি হচ্ছে বলেই যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যে সংক্রমণ বেড়ে যাচ্ছে। টেস্ট বন্ধ করে দিলে এমনিতেই সংক্রমণ কমে যাবে। খবর সিএসএনের।

প্রবীণ নাগরিকদের সহযোগিতা-বিষয়ক এক সভায় সোমবার করোনার চিকিৎসার নতুন উপায়ও বাতলে দিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি করোনাভাইরাস রোধে শরীরে জীবাণুনাশক ইনজেকশন নেয়ারও পরামর্শ দেন।

ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, যদি আপনি পরীক্ষা করা বন্ধ করে দেন তাহলে কোনো করোনা রোগীই পাবেন না। যদি আমরা এই মুহূর্তে করোনা টেস্ট করা বন্ধ করে দেই তাহলে আমরা খুব কমই করোনা রোগী পাব। এর আগেও ট্রাম্প এমন কথা বলেছেন। তিনি দাবি করেছিলেন, করোনার টেস্ট বেশি হওয়ার কারণেই রোগী বেশি।

১৫ জুন সকালে এক টুইটবার্তায় ট্রাম্প বলেন, অন্য দেশের চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রে করোনার টেস্টিং ব্যাপক আকারে এবং উন্নত পদ্ধতিতে হচ্ছে। এ কারণেই অনেক বেশি সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে। টেস্টিং না হলে বা দুর্বল পদ্ধতিতে টেস্টিং হলে দেখা যেত, এই দেশে করোনা সংক্রমিত কোনো রোগীই প্রায় নেই। করোনার টেস্টিং হলো দুদিকে ধার দেয়া তরবারি—এটা আমাদের খারাপ অবস্থাকে প্রকাশ্য করছে। অন্যদিকে, এটা একটি ভালো কাজ।

এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের ব্যবহারের অনুমতি বাতিল করেছে দেশটির ওষুধ প্রশাসন এফডিএ। তারা জানিয়েছে, এই ওষুধে করোনার ওপর কোনো প্রভাব প্রমাণিত হয়নি। এফডিএ এর এই সিদ্ধান্তেও বেজায় চটেছেন ট্রাম্প। তার দাবি, কিছু দেশ ছাড়া করোনা চিকিৎসায় হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ব্যবহার হচ্ছে, একমাত্র মার্কিন সংস্থাই এই ওষুধের গুণ বুঝল না।

ট্রাম্প বলেন, 'ফ্রান্স, স্পেনসহ দু’একটি দেশ বাদ দিলে গোটা ইউরোপেই হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন কোভিড রোগীদের চিকিৎসায় বেশ কার্যকরী হয়েছে। শুধু মার্কিন সংস্থাগুলিই এর সুফল নিতে পারল না। হোয়াইট হাউসের দুই কর্মী করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর আমি নিজেও সতর্ক থাকতে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন খেয়েছিলাম। আমি তো ভালই ছিলাম। ওষুধটি আমার কোনো ক্ষতিই করেনি।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৬জুন, ২০২০)