দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. হাবিবুর রহমান খানকেও বদলি করা হয়েছে।

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের প্রশাসন অনুবিভাগের দায়িত্বে থাকা হাবিবুর রহমান খান মিডিয়া সেলেরও আহ্বায়ক ছিলেন। করোনা পরিস্থিতি নিয়ে গঠিত মিডিয়া সেলের মূল ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে তিনি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ব্রিফিং এবং সাংবাদিকদের বিভিন্ন বিষয়ে বক্তব্য দিয়ে আসছিলেন।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এই কর্মকর্তার বদলির আদেশ জারি করেছে।

হাবিবুর রহমানকে বদলি করে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের (বারটান) নির্বাহী পরিচালক করা হয়েছে।

করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর চিকিৎসকদের মাস্ক কেনাসহ চিকিৎসা ব্যবস্থা ছাড়াও মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন বিষয়ে সমালোচনা ছিল। প্রধানমন্ত্রী এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছিলেন।

এই সমালোচনার মধ্যে এর আগে গত ৩০ মে সিএমএসডি পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শহীদউল্লাহকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তার আগে মাস্ক কেলেঙ্কারিসহ বিভিন্ন কেনাকাটার অনিয়মে জড়িত থাকার অভিযোগে কেন্দ্রীয় ঔষধাগার (সিএমএসডি) পরিচালকের পিএ হিসেবে কর্মরত মো. জাহিদুর রহমানকে সরানো হয়। গত ৪ জুন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলামকে সরিয়ে দেওয়া হয়। আসাদুলকে পরিকল্পনা বিভাগের সচিব হিসেবে বদলি করা হয়। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের নতুন সচিব নিয়োগ পান ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মান্নান।

এর চার দিনের মাথায় আট জুন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (হাসপাতাল অনুবিভাগ) মো. সিরাজুল ইসলামকে রেলপথ মন্ত্রণালয় এবং অতিরিক্ত সচিব (ঔষধ প্রশাসন অনুবিভাগ) মো. ইসমাইল হোসেনকে ভূমি মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়।

প্রসঙ্গত, হাবিবুর রহমানকে আহ্বায়ক করে অতিরিক্ত সচিব রীনা পারভীন, সিস্টেম এনালিস্ট আহমেদ লতিফুল হোসেন ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম প্রধানকে নিয়ে গত ১৪ এপ্রিল মিডিয়া সেল গঠন করা হয়।

বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ ও বিস্তার রোধে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম বা পদক্ষেপের বিষয়ে নিয়মিত ব্রিফিং, সব মিডিয়াকে অবহিত এবং এ সংক্রান্ত বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ওই মিডিয়া সেল গঠন করা হয়।

হাবিবুর রহমান ব্রিফিং ও সাংবাদিকদের বিভিন্ন বিষয়ে বক্তব্য দিয়ে আসছিলেন।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৮জুন, ২০২০)