দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: লিগ শিরোপার লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে জয়ের বিকল্প নেই রিয়াল মাদ্রিদের সামনে। তবে ম্যাভের শুরুতে কিছুটা নড়বড়ে দেখাচ্ছিল জিনেদিন জিদানের শিষ্যদের। পয়েন্ট টেবিলে পিছিয়ে থাকলেও ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে জয় পেতে যে পূর্ণদমে খেলতে হবে সেটা খোদ রিইয়াল মাদ্রিদ-ও জানতো। তাই তো প্রথমার্ধের ব্যর্থতা কাটিয়ে ম্যাচ শেষ করেছে ৩-০ গোলের দারুন এক জয় দিয়ে।

ম্যাচের প্রথমার্ধেই গোলের দেখা পায় স্বাগতিক ভ্যালেন্সিয়া। অবশ্য নিয়তির পরিহাসে ভিএআর চেকিংয়ে গোল বাতিল হলে হতাশার চাদরে মুড়ে যায় অতিথিরা। প্রথমার্ধে গোলশূন্য থাকার পর ম্যাচের ৬১ মিনিটে এসে গোলখরা কাটায় রিয়াল। ভ্যালেন্সিয়ার বুকে প্রথম ছুরি চালান বেনজেমা। ইডেন হ্যাজার্ডের এসিস্টে সহজ স্থান থেকে গোল করতে ভুল করেননি এই ফরাসি স্টাইকার।

ম্যাচের ৭৪তম মিনিটে ফ্রেডে ভালভার্দেকে তুলে মার্কো অ্যাসেনসিওকে নামান জিদান। ইনজুরি কাটিয়ে ৩২০ দিন পর এবং এই মৌসুমে প্রথমবারের মতো মাঠে নেমে প্রথম ছোঁয়াতেই বল জালে জড়ান রিয়াল মাদ্রিদের স্প্যানিশ এই ফরোয়ার্ড। রিয়ালের ফরাসি ডিফেন্ডার ফার্লেন্ড মেন্ডির বাড়ানো বল নিচু শটে জালে জড়ান অ্যাসেনসিও।

৮৬ মিনিটে দলের তিন নম্বর গোলেও অবদান এই বদলি খেলোয়াড়ের। ডি বক্সে তার বাড়ানো বল নিখুঁত রিসিভিংয়ে পায়ে তোলেন বেনজেমা। এরপর বাকি কাজটা সারেন অনায়াসে। দৃষ্টিনন্দন এক গোল করে ভ্যালেন্সিয়ার কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন বেঞ্জু। ৮৯ মিনিটে ভ্যালেন্সিয়ার বদলি খেলোয়াড় লি কেং লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে আরও চাপে পড়ে ভ্যালেন্সিয়া।

১০ জনের ভ্যালেন্সিয়া এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। আর প্রায় ১ বছর বাদে ফেরা আসেনসিও পুরো ম্যাচ না খেলেই পেয়েছেন ম্যাচসেরার পুরষ্কার। এ জয়ে ২৯ ম্যাচ খেলে রিয়াল মাদ্রিদের পয়েন্ট ৬২। টেবিলের দুই নম্বরে থাকা রিয়ালের সঙ্গে শীর্ষে থাকা বার্সেলোনার পয়েন্টের ব্যবধান ২।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৯জুন, ২০২০)