দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: করোনাভাইরাস মহামারিতে বিপর্যস্ত বিশ্ব। বিশ্বে গত একদিনে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪৪২৮ জনের এবং আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখ ৫৬ হাজারের বেশি মানুষ। এ তথ্য জানিয়েছে করোনাভাইরাস নিয়ে লাইভ আপডেট দেয়া ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার।

রবিবার সকাল পর্যন্ত করোনায় বিশ্বব্যাপী নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৬৬ হাজার ৪১৮ জনে এবং আক্রান্তের সংখ্যা ৮৯ লাখ ১৪ হাজার ৭৮৭ জন। অপরদিকে ৪৭ লাখ ৩৮ হাজার ৫৪২ জন করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন।

গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে এই মহামারি শুরু হলেও ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রে তাণ্ডব চালিয়েছে করোনাভাইরাস। এখন এর কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠছে রাশিয়া, ব্রাজিল। আক্রান্ত ও নিহতের সংখ্যায় সবার ওপরে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৩ লাখ ৩০ হাজার ৫৭৮ জন এবং মৃত্যু হয়েছে এক লাখ ২১ হাজার ৯৮০ জনের। সুস্থ হয়েছেন ৯ লাখ ৭২ হাজার ৯৪১ জন।

আক্রান্ত ও মৃত্যুতে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। সেখানে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লাখ ৭০ হাজার ১৩৯ জন, মৃত্যু হয়েছে ৫০ হাজার ৫৮ জনের। রাশিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫ লাখ ৭৬ হাজার ৯৫২ জন, মৃত্যু হয়েছে ৮০০২ জনের।

আক্রান্তের দিক দিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। সেখানে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লাখ ১১ হাজার ৭২৭ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১৩ হাজার ২৭৭ জনের।

আক্রান্তের দিক দিয়ে পঞ্চম এবং মৃত্যুর দিক দিয়ে তৃতীয় অবস্থানে থাকা ব্রিটেনে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ৩ হাজার ১১০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৪২ হাজার ৫৮৯ জনের।

চীনের উহান থেকে বিস্তার শুরু করে বিশ্বব্যাপী মহামারি রূপ নিয়েছে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)।করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নেয়া হয়েছে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ। অধিকাংশ দেশেই মানুষের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা নিশ্চিত করতে মানুষের চলাফেরার ওপর বিভিন্ন মাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ।

কোনো কোনো দেশে আরোপ করা হয়েছে সম্পূর্ণ লকডাউন, কোথাও কোথাও আংশিকভাবে চলছে মানুষের দৈনন্দিন কার্যক্রম। এ ধরনের পদক্ষেপ নেয়ার কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন এলাকার প্রায় অর্ধেক মানুষ চলাফেরার ক্ষেত্রে কোনো না কোনো মাত্রায় নিষেধাজ্ঞার ওপর পড়েছেন। তবে এরই মধ্যে কোনো কোনো দেশে করোনার প্রভাব কমে যাওয়ায় লকডাউন শিথিল ও নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে।

করোনাভাইরাস মূলত শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো হলে এ রোগ কিছুদিন পর এমনিতেই সেরে যেতে পারে। তবে ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদযন্ত্র বা ফুসফুসের পুরোনো রোগীদের ক্ষেত্রে ডেকে আনতে পারে মৃত্যু।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২১জুন, ২০২০)