স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশুর হাট বসার অনুমতি দিবে সরকার
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ বছর কোরবানির পশুর হাট বসবে বলে জানান স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। কোভিড-১৯ পরিস্থিতির মধ্যেও আসন্ন ঈদ-উল আজহা কেন্দ্র করে রাজধানীতে বসতে যাচ্ছে কোরবানির পশুর হাট। ইতোমধ্যে নির্ধারণ করা হয়েছে ২৪টি স্থান।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) এবার ১০টি স্থানে পশুর হাট বসবে। আর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) হাট বসবে ১৪টি। এছাড়াও গাবতলীতেও বসবে কোরবানির পশুর হাট।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে আগের বছরগুলোতে যেসব হাট ছিল সেগুলো এবার থাকার সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি। এগুলোর মধ্যে আছে মিরপুরের ইস্টার্ন হাউজিং হাট, আগারগাঁও, ৩০০ ফিট, উত্তরা-১৫ নম্বর সেক্টরের ১ নম্বর ব্রিজের পশ্চিম অংশে ও ২ নম্বর ব্রিজের পশ্চিমে গোলচত্বর পর্যন্ত সড়কের উভয় পাশের ফাঁকা জায়গা, মোহাম্মদপুর বুদ্ধিজীবী সড়কসংলগ্ন (বছিলা), মিরপুর পুলিশ লাইনসের খালি জায়গা, মিরপুর সেকশন-৬, ওয়ার্ড-৬-এর (ইস্টার্ন হাউজিং) খালি জায়গা, ভাটারা (সাঈদনগর) পশুর হাট, মিরপুর ডিওএইচএসের উত্তর পাশের সেতু প্রোপার্টি ও সংলগ্ন খালি জায়গার অস্থায়ী পশুর হাট, ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট খেলার মাঠ, বাড্ডার ইস্টার্ন হাউজিং (আফতাবনগর) সড়কের হাট ইত্যাদি।
দরপত্র আহ্বান করা ডিএসসিসি এলাকার অস্থায়ী পশুর হাটগুলো হলো- উত্তর শাহজাহান পুরের মৈত্রী সংঘ মাঠ এলাকার খালি জায়গা, হাজারীবাগের ইনস্টিটিউট অব লেদার টেকনোলোজি মাঠ সংলগ্ন খালি জায়গা, কামরাঙ্গীরচরের ইসলাম চেয়ারম্যান বাড়ি থেকে দক্ষিণ বুড়িগঙ্গা বাঁধ পর্যন্ত খালি জায়গা, পোস্তাগোলা শ্মশান ঘাট এলাকার খালি জায়গা, শ্যামপুর বালুর মাঠ সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, খিলগাঁও মেরাদিয়া বাজারের আশপাশের খালি জায়গা, আরমানিটোলা মাঠ সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, গোপীবাগের বালুর মাঠ ও কমলাপুর স্টেডিয়াম সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, যাত্রাবাড়ীর দনিয়া কলেজ সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, ধূপখোলা মাঠ সংলগ্ন খালি জায়গা, সাদেক হোসেন খোকা মাঠ সংলগ্ন ধোলাইখাল ট্রাকস্ট্যান্ড এলাকা, ডিএসসিসির আফতাফ নগরের (ইস্টার্ন হাউজিং) ব্লক ই, এফ, জি ও এইচ এবং সেকশন ১ ও ২ এর খালি জায়গা, আমুলিয়া মডেল টাউনের খালি জায়গা এবং লালবাগের রহমতগঞ্জ খেলার মাঠের আশপাশের খালি জায়গা।
এবারের হাটে সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তার বিষয় হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি। তাই হাটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে জানানো হয় দুই সিটি করপোরেশন ও সরকারের পক্ষ থেকে।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২৫জুন, ২০২০)