দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: ভারতের আসাম রাজ্যের কৃষকদের সেচের পানি আটকে দেওয়ার খবরকে গুজব বলে দাবি করেছে ভুটান। ভারতীয় কর্তৃপক্ষও স্বীকার করেছে ‘প্রাকৃতিক কারণেই পানি আটকে গিয়েছিল এবং সংবাদমাধ্যমে পুরো বিষয়টি ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

সীমান্তবর্তী এই চ্যানেলটি ভুটান ও ভারতের কৃষকরা ১৯৫৩ সাল থেকে ব্যবহার করছেন।

বৃহস্পতিবার ভারতীয় কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, আসাম সীমান্তে ডং ইরিগেশন চ্যানেল দিয়ে আসামের কৃষকদের সেচের পানি আটকে দিয়েছে থিম্পু। এতে সীমান্তবর্তী ২৫টি গ্রামের কয়েক হাজার কৃষক সেচের পানি পাচ্ছেন না। এর জেরে বিক্ষোভ করেছেন কৃষকরা। করোনার বিস্তার রোধের অজুহাত দেখিয়ে ভুটান এই পানি সরবরাহ বন্ধ করেছে বলেও দাবি করা হয় ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে ভুটানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের এই অভিযোগকে ‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন’ দাবি করে বলেছে, নয়া দিল্লি ও থিম্পুর সম্পর্কে ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি করতে এটি একটি ‘ইচ্ছাকৃত প্রচেষ্টা।’

এতে বলা হয়েছে, ‘এটি একটি দুঃখজনক অভিযোগ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এটি স্পষ্ট করতে চায় যে, পানি প্রবাহ এই সময়ে বন্ধের কোনো কারণ নেই, তাই সংবাদ প্রতিবেদনটি পুরোপুরি ভিত্তিহীন।’

এদিকে আসামের মুখ্য সচিব কুমার সঞ্জয় কৃষ্ণাও ভুটানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একমত পোষণ করে বলেছেন, পানি আটকানোর ঘটনা ‘ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘ভারতীয় ক্ষেতে ইরিগেশন চ্যানেলটির পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়া ছিল প্রাকৃতিক।’

এক টুইটে তিনি জানান, প্রকৃতপক্ষে ভুটান সেই প্রতিবন্ধকতা অপসারণে কাজ করছিল।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২৬জুন, ২০২০)