লঞ্চডুবির ঘটনায় শোকাহত সাকিব-মুশফিকরা
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: করোনাভাইরাসের প্রকোপে বিশ্বে মৃত্যুর মিছিল লেগেছে। বাংলাদেশেও দিন দিন সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ছে। এমন এক ক্রান্তিকালে সোমবার সকালে বুড়িগঙ্গা নদীতে ঘটে গেছে এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। মুন্সীগঞ্জ থেকে ঢাকায় আসার পথে বড় লঞ্চের ধাক্কায় ডুবে গেছে মর্নিং বার্ড নামের যাত্রিবাহী ছোট লঞ্চ। এ দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত অন্তত ৩২ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। করোনাভাইরাসের এ সংকটময় সময়ের মাঝে আবার লঞ্চডুবির ঘটনা গোটা দেশকে শোকের সাগরে নিমজ্জিত করেছে। সেই শোক থেকে বাদ যায়নি সাকিব-মুশফিক-রুবেলরাও।
সাকিব আল হাসান এক ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘প্রতিটি শোক সংবাদ হতাশার, বেদনার। গত চারমাস ধরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিনই মানুষ চলে যাচ্ছে না ফেরার দেশে। এর মধ্যে আজ আবার বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে লঞ্চ ডুবে এখন পর্যন্ত ৩২ জন মানুষের প্রাণহানী এবং এখন পর্যন্ত বেশ কিছু যাত্রী নিঁখোজ রয়েছে। তাদের স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠছে চারপাশ। সত্যি বলতে আমি কোনো ভাবেই নিজেকে সান্ত্বনা দিতে পারছি না।
পুরো পৃথিবীর এই ভয়ংকার ক্রান্তিকালে এমন দূর্ঘটনার কোন সান্ত্বনা বা ব্যাখ্যা আমার জানা নেই। ভবিষ্যতে এমন অনাকাঙ্খিত দূর্ঘটনা আর একটি যেন না হয় এমন বাংলাদেশ দেখবার প্রত্যাশা করি। করোনাসহ সব সকল দূর্যোগ কেটে যাবে ইনশাআল্লাহ। মাত্র ৩০ সেকেন্ড দূরের পথে থেকেও, সারাজীবনের জন্য পরপারে পাড়ি জমানো সকল আত্মার প্রতি শান্তি ও সৃষ্টিকর্তার নিকট জান্নাত কামনা করছি।’
ফেসবুকে মুশফিক লিখেছেন, ‘বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চডুবির ঘটনায় নিরীহ মানুষদের প্রাণহানিতে আমি হতবাক ও শোকাহত। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। এখনও পর্যন্ত ভালো বছর নয়।’ এ ঘটনায় শোকাহত জাতীয় দলের ডানহাতি পেসার রুবেল হোসেনও। তিনি লিখেছেন, ‘এসেছিলো স্বপ্নের নগরীতে বেঁচে থাকার আশায়। কে জানত নিজেরাই চলে যাবে স্বপ্নপুরীতে। অত্যন্ত হৃদয় বিদারক মর্মান্তিক একটি দুর্ঘটনা। বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবিতে নিহত সকলের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। হে মহান আল্লাহ আপনি সকল নিহতের পরিবারকে এই শোক সামলে ওঠার শক্তি দান করুন। আমিন।’
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/৩০জুন, ২০২০)