দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: কোভিড-১৯ পজিটিভ থেকে স্ত্রী সন্তানসহ নেগেটিভ হয়েছেন শহীদ আফ্রিদি মাত্র ক'দিন হলো। সুস্থ হয়েই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। ভারতের ক্রিকেট আভিজাত্যকে দিয়েছেন শহীদ আফ্রিদি ধাক্কা। পাক-ভারত ক্রিকেট লড়াইয়ে এখন রণাঙ্গনের ঝাঁঝ নেই।

তিন ফরমেটের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভারত এখন ক্রিকেট পরাশক্তি। তবে এখনো টেস্ট,ওয়ানডের মুখোমুখি লড়াইয়ে পরিসংখ্যানে এগিয়ে পাকিস্তান। এখনও পর্যন্ত দুই দেশের মধ্যে হওয়া ৫৯ টেস্টের ১২টিতে জিতেছে পাকিস্তান। ভারত জিতেছে নয়টিতে।

এক দিনের ক্রিকেটে দুই দলের মধ্যে ফারাক অনেক বেশি। পাকিস্তান মুখোমুখি সাক্ষাতে জিতেছে ৭৩ বার, ভারত জিতেছে ৫৫ বার। একমাত্র টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এগিয়ে রয়েছে ভারত। দুই দলের মধ্যে হওয়া আটটি ম্যাচের মধ্যে ছয়টিতেই জিতেছে ভারত।

বিশ্বকাপে পাক-ভারতের লড়াইটা একতরফা। ৭টি মুখোমুখি লড়াইয়ে সব ক'টিতে হেরেছে পাকিস্তান। তারপরও ৮০,৯০ দশক এবং ২০০০'র পর হেড টু হেডে চিত্রটা অন্যরকম। ৮০'র দশকে পাকিস্তান-ভারতের হেড টু হেড ছিল ১৯-৯, ৯০ দশকে ৪৮-১৮, বিংশ দশকে ২৫-২৩ ! হারের ব্যবধানটা ক্রমে কমিয়েছে ভারত।১৯৯৯ সালে ভারতের বিপক্ষে শহীদ আফ্রিদির অভিষেকের পর দৃশ্যপটটা বদলে গেছে। ভারত পেছন থেকে উপরে উঠছে।

তবে ক্রিক কাস্ট ইউটিউব শো'তে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শাহীদ আফ্রিদির ভারতের ক্রিকেট ইমেজকে করেছেন আঘাত। পাকিস্তানের কাছে একসময় ক্রমাগত হারের পর দয়া ভিক্ষা করতো ভারতীয় ক্রিকেটাররা। এমন মন্তব্য করেছেন তিনি এই ইউটিউব চ্যানেলে। হিন্দুস্তান টাইমস শহীদ আফ্রিদির সেই মন্তব্যই ছেপেছে-'আমি সব সময় ভারত এবং অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলা উপভোগ করি। তাদের বিপক্ষে খেলা মানেই অনেক চাপ নেয়া। তারা অনেক ভাল দল। তাদের মাঠে,তাদের কন্ডিশনে পারফর্ম করা অনেক বড় ব্যাপার। আমরা বহু বার হারিয়েছি ভারতকে। আমরা ওদেরকে এত হারিয়েছি যে, ম্যাচের পর ওরা দয়া ভিক্ষা চাইত।'

ভারতের বিপক্ষে শহীদ আফ্রিদি ৮ টেস্টে করেছেন ৩ সেঞ্চুরি,৩ ফিফটিতে ৪৭.২৬ গড়ে ৭০৯ রান। পাশাপাশি পেয়েছেন ১৪ উইকেট। ওয়ানডেতে সেখানে ৬৭ ম্যাচে ২ সেঞ্চুরি,৫ ফিফটিতে ১৫২৪ রান। ওয়ানডে ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে তার স্ট্রাইক রেটটাও বলার মতো, ১০৯.০৯। এমন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলার অতীতটা যে তার সুখস্মৃতির। নামের সঙ্গে 'বুম বুম' খেতাবটা যে লেগে আছে এই ব্যাটিং সেনসেশনের।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০৫জুলাই, ২০২০)