সাহারা খাতুনের মরদেহ ঢাকায়, দাফন বেলা ১১টায়
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনের মরদেহ ঢাকা এসে পৌঁছেছে। ইউএস-বাংলার একটি বিশেষ ফ্লাইটে শুক্রবার দিবাগত রাত ১টা ৫০ মিনিটে বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়।
রাতে বিমানবন্দরে সাহারা খাতুনের মরদেহ গ্রহণ করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর অন্যতম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।
আওয়ামী লীগ নেতারা বিমানবন্দরে মরদেহ গ্রহণের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবেন। সমাধির আনুষ্ঠানিকতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা পরিবারের কাছে শেয়ার করে এয়ারপোর্ট থেকে বিদায় নেবেন তারা।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘শনিবার বনানী কবরস্থানে মায়ের কবরে শায়িত হবেন অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন।’
দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া জানান, শনিবার বেলা ১১টায় সীমিত পরিসরে বনানী কবরস্থান জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন এমপির নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। সবাইকে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি কড়াকড়িভাবে মেনে জানাজায় অংশগ্রহণের নির্দেশনা প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
নানা জটিলতা নিয়ে অসুস্থ সাহারাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত সোমবার এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ব্যাংককে নেওয়া হয়েছিল, ভর্তি করা হয়েছিল বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাতে তার মৃত্যু হয়।
৭৭ বছর বয়সী সাহারা খাতুন জ্বর, অ্যালার্জির সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় আক্রান্ত। গত ৩ জুন ভোর ৪ টা ৪০ মিনিটে শ্বাসকষ্ট নিয়ে তিনি ইউনাইডেট হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ব্যাংক যাওয়ার আগ পর্যন্ত সেখানেই তার চিকিৎসা চলছিলো।
১৯৪৩ সালের ১ মার্চ ঢাকার কুর্মিটোলায় জন্মগ্রহণ করেন সাহারা খাতুন। তার বাবার নাম আব্দুল আজিজ ও মাতার নাম টুরজান নেসা। সাহারা খাতুন তিন মেয়াদ ধরে ঢাকা-১৮ আসন থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত সংসদ সদস্য। ২০০৮ সালে মহাজোট ক্ষমতায় এলে প্রথমে তাকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী করা হয়। পরে সেখান থেকে সরিয়ে পাঠানো হয় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে।
সাহারা খাতুন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে একজন আইনজীবী হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। আওয়ামী লীগের এই প্রেসিডিয়াম সদস্য বাংলাদেশ আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক। এছাড়াও তিনি আন্তর্জাতিক মহিলা আইনজীবী সমিতি ও আন্তর্জাতিক মহিলা জোটের সদস্য।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১১জুলাই, ২০২০)