রিজেন্টের সঙ্গে চুক্তির বিষয়টি জানা ছিল না : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক জানিয়েছেন, রিজেন্টে হাসপাতালের সঙ্গে করোনা নিয়ে চুক্তির বিষয়টি তার জানা ছিল না। তিনি বলেন, রিজেন্ট হাসপাতালকে কভিড-১৯ ডেডিকেটেড হিসেবে চুক্তির বিষয়ে আমি জানতাম না। মঙ্গলবার (১৪ জুন) গণমাধ্যমকে এ কথা বলেন তিনি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজির অনুরোধে ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলাম।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এরই মধ্যে রিজেন্টের সঙ্গে করোনার চিকিৎসা নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। ছবিতে দেখা যায়, রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. শাহেদ একটি কাগজে স্বাক্ষর করছেন, তার পাশে বসা স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ। পেছনে দাঁড়ানো সাবেক স্বাস্থ্যসচিব, বর্তমান স্থানীয় সরকারসচিব, জননিরাপত্তাসচিবসহ অন্য কর্মকর্তারা।
জানা যায়, গত ২১ মার্চ মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কক্ষে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের আগে করোনাসংক্রান্ত একটি বৈঠক হয়। এর পরপরই উপস্থিত সচিবেরা যখন বের হয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নেন, তখন মন্ত্রী তাদের বসতে বলেন। এ সময় চা-নাশতা দেয়া হয়। এরপরই মহাপরিচালকের কক্ষে রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. শাহেদ ঢোকেন। পরে মন্ত্রীর অনুরোধে অন্য সচিবদের উপস্থিতিতে চুক্তি স্বাক্ষর হয়। অথচ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রণালয় এখন এ বিষয়ে কিছু জানে না বলছে।
চুক্তি স্বাক্ষরের ওই অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে স্থানীয় সরকার বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ‘অধিদপ্তরে করোনাসংক্রান্ত বৈঠকের পর মন্ত্রীর অনুরোধেই ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলাম। একই কথা বলেন জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বৈঠকের পর মন্ত্রী আমাদের চা খাওয়ালেন। এরপর বললেন, আপনারা যেহেতু উপস্থিত আছেন, আপনারাও দাঁড়ান।
বিতর্কিত হাসপাতালকে কভিড চিকিৎসার দায়িত্ব দিয়ে এখন না জানার কথা বলছেন মন্ত্রী স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গত শনিবার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করা হয়। পরদিন মন্ত্রণালয় অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে চিঠি দিয়ে এর ব্যাখ্যা চায়। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বলতে কী বোঝানো হয়েছে, তা জানতে চায় মন্ত্রণালয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, মন্ত্রণালয় যে ব্যাখ্যা চেয়েছে, কাল-পরশুর মধ্যেই আমরা সব জানাব। তবে সোমবার পর্যন্ত মন্ত্রণালয়ে কোনো চিঠি তিনি পাঠাননি।
চুক্তি প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূর বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী আমাদের জানিয়েছেন, চুক্তির বিষয়ে তিনি জানতেন না।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৪জুলাই, ২০২০)