পাঠাও’র সহ-প্রতিষ্ঠাতা ফাহিমের খুনিকে নিয়ে যা জানা গেল
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: জনপ্রিয় রাইড শেয়ারিং অ্যাপ পাঠাওয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহ নিউইয়র্ক নগরীর ম্যানহাটনে নৃশংসভাবে খুন হয়েছেন। নিউইয়র্ক পুলিশ ফাহিমের নিজ অ্যাপার্টমেন্ট থেকে গত মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) বিকালে তার খণ্ড-বিখণ্ড মরদহ উদ্ধার করে।
নিউইয়র্ক পুলিশ (এনওয়াইপিডি) জানিয়েছে, ফাহিমের হাত-পা, মাথা সবকিছু বিচ্ছিন্ন ছিল। পাশেই ছিল একটি ইলেকট্রিক স (বিদ্যুচ্চালিত করাত)। গোয়েন্দা সংস্থা ঘটনাস্থলের ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং মরদেহের ফরেনসিক টেস্ট রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছে।
নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগের (এনওয়াইপিডি) মুখপাত্র সার্জেন্ট কার্লোস নিয়েভস বলেন, ঘটনাস্থলেই শরীরের বিচ্ছিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে হাত-পা বিহীন ধড়, বিচ্ছিন্ন মাথা, হাত এবং দুই পা পাওয়া গেছে। পাশে একটি ব্যাগও ছিল। সেখানেও অঙ্গপ্রত্যঙ্গ থাকতে পারে। এখনো ব্যাগটি খুলে দেখা হয়নি। আমরা এখনো এই হত্যাকাণ্ডের কোনো উদ্দেশ্য সম্পর্কে ধারণা করতে পারছি না।
ফাহিমের বোন ৯১১-এ ফোন করে বিষয়টি প্রথমে পুলিশকে জানায়। তিনি পুরো এক দিন ভাইয়ের কোনো খোঁজ পাচ্ছিলেন না। এরপরই নিজ বাড়িতে ভাইয়ের খণ্ড-বিখণ্ড মরদেহ দেখতে পান। নিউইয়র্ক পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে সাততলা ভবনটিতে যায়।
লিফটের একটি সার্ভিলেন্স ক্যামেরায় ফাহিমের গতিবিধির কিছু ফুটেজ পাওয়া গেছে। তাতে সর্বশেষ সোমবার তাকে লিফটের ভেতর দেখা গেছে। স্যুট, গ্লভস, হ্যাট এবং মাস্ক পরিহিত একটি লোককে ওই সময় তাকে অনুসরণ করতে দেখা যাচ্ছে।
পুলিশের ধারণা, ফাহিম লিফট থেকে বের হওয়ার পরপরই তাকে গুলি করা হয়েছে অথবা ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়া হয়েছে। অপরাধীর কাছে একটি স্যুটকেসও ছিল। সে খুবই পেশাদার খুনি বলেই ধারণা করছে পুলিশ।
ফাহিম যে ভবনে থাকতেন সেটি খুব সম্প্রতি নির্মিত একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবন। ভবনের পর্দা নামানো ছিল।
ফাহিমের এক প্রতিবেশী ডেনিয়েল ফাউস্ট (৪০) বলেন, তিনি পুলিশ প্রহরায় দুই জন নারীকে ওই ভবন থেকে বের হতে দেখেছেন। এর মধ্যে একজন ছোট করে ছাঁটা কালো চুলের। আর দ্বিতীয়জন বেশ লম্বা এবং লম্বা চুল বিশিষ্ট। তাদের একেবারে উদভ্রান্তের মতো দেখাচ্ছিল। গোয়েন্দা পুলিশের সঙ্গে তাদের বেরিয়ে যেতে দেখেছি। পুলিশ ওই ভবন থেকে একটি কুকুরও বের করে নিয়ে গেছে।
তার বন্ধু ও প্রতিবেশীরা বলছেন, সালেহকে কখনোই বলতে শোনা যায়নি তিনি কাউকে সন্দেহ করছেন বা নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত আছেন। তাছাড়া এই এলাকায় ২০১৫ সালের পর একটিও খুন হয়নি।
সূত্র: নিউইয়র্ক ডেইলি নিউজ
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৫জুলাই, ২০২০)