সাহেদ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেছে
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার শাখরা কোমরপুর বেইলি ব্রিজের পাশে ইছামতী নদীর নর্দমার মধ্যে থেকে রিজেন্ট গ্রুপের পরিচালক প্রতারক সাহেদ করিম ওরফে মো. সাহেদকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। বুধবার ভোর রাত ৫টা ১০ মিনিটের দিকে ইছামতী নদীর পাড়ে একটি নর্দমা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারের পর তাকে নিয়ে আসা হয় র্যাব-৬ এর আওতাধীন সাতক্ষীরা র্যাব ক্যাম্পে। সেখান থেকে সকাল ৮টায় নিয়ে আসা হয় সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামে। এরপর র্যাবের একটি বিশেষ হেলিকপ্টারযোগে তাৎক্ষণিক তাকে ঢাকায় নেয়া হয়। তারপর তাকে উত্তরায় তার সিক্রেট হাউজে অভিযান চালানো হয়। তা নিয়ে র্যাব সংবাদ সম্মেলন করছে।
সেখানে তার অপরাধের বিস্তারিত বর্ণনা করা হচ্ছে। র্যাব প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন জানান , আমরা তার (সাহেদ) গতিবিধি আগে থেকেই অনুসরণ করছিলাম। ঘন ঘন স্থান পরিবর্তন করছিলেন সাহেদ। তিনি সীমান্ত নদী ইছামতী দিয়ে ভারতে পালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। সেজন্য দালালদের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছেন। সাহেদকে যে দালাল সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছে তাকেও আমরা গ্রেফতার করব।
সাহেদের বেশ পরিবর্তনের বিষয়ে র্যাবের প্রধান বলেন, চুলের রং পরিবর্তন করে সাদা চুল কালো করেছেন তিনি। গোফ কেটে কালো করে ফেলেছেন। তার প্ল্যান ছিল মাথা ন্যাড়া করার। ভারতে গেলে হয়ত ন্যাড়া করে ফেলতেন।
র্যাবের প্রধান বলেন, সাহেদকে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার কাজে সহযোগিতা করছিল একজন মাঝি, সে সাঁতরে পালিয়ে গেছে। তবে সাহেদ করিম মোটা হওয়ায় হয়তো দৌড়াতে পারেননি। যার কারণে তাকে আমরা ধরতে সক্ষম হয়েছি। বোরকা পরা অবস্থায় নৌকায় উঠে পালিয়ে যাওয়ার আগেই তাকে আমরা ধরে ফেলেছি। তার কাছ থেকে একটি পিস্তল, তিন রাউন্ড গুলি ও একটি ম্যাগজিন উদ্ধার করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যখাতে তার বিপুল দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেছে ইতিমধ্যেই। সাহেদ গ্রেপ্তার এড়াতে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেছেন। এর মধ্যে রয়েছে কক্সবাজার, কুমিল্লার মতো শহরও। সর্বশেষ তিনি সাতক্ষীরায় সীমান্ত পাড়ি দিতে গিয়ে ধরা খেলেন।
তার বিরুদ্ধে ৫০ এর অধিক মামলা রয়েছে। আমরা তাকে বিভিন্ন জায়গাতেই ফলো করেছি। সে ঢাকা ছেড়েছে আবার ঢাকায় এসেছিলোও। সে পালিয়ে বেড়ানোর সময় ট্রাকে গিয়েছে। অনেক সময় হেটেও স্থান ত্যাগ করেছে। তবে ছদ্ববেশেও ছিলো।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৫জুলাই, ২০২০)