দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: রাইড শেয়ারিং অ্যাপ পাঠাওয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহ যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক নগরীর ম্যানহাটনে খুন হয়েছেন। ফাহিম সালেহ নাইজেরিয়াভিত্তিক রাইড শেয়ারিং অ্যাপ গোকাডারও মালিক। নাইজেরিয়ার সর্ববৃহৎ শহর লাগোসে এই অ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ারিং সেবাটি চালু রয়েছে।

বাংলাদেশি ফাহিমের হত্যাকাণ্ড নিয়ে কাঁদছে নাইজেরিয়াও। দেশটির নাগরিকরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁকে নিয়ে আবেগমিশ্রিত পোস্ট করছেন। তাঁর মৃত্যুতে শোকও প্রকাশ করেছেন। ফাহিমকে নিয়ে বেলানাইজা নামক ওয়েবসাইটে একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে লেখা হয়েছে ফাহিমের পাঁচটি গুণ নিয়ে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

তাঁর উদারতা

তাঁর মৃত্যুতে নাইজেরিয়ানদের শ্রদ্ধা জানানো অব্যাহত রয়েছে। তেমনিভাবে সবাই ফাহিমকে মনে রাখবেন তাঁর উদারতার জন্য। এই গুণটির জন্য তাঁর বন্ধু, কর্মচারী আর অপরিচিতরা- সবাই তাঁকে মনে রাখবেন।

তাঁর সাহসিকতা

উদ্যোক্তা হিসেবে ফাহিম কতটা সাহসী ছিলেন সেই গুণটি স্পষ্টই। কারণ তাঁর প্রথম সংস্থাটি যখন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তখন তিনি উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়তেন। তিনি সব সময় মানুষকে উৎসাহ দিতেন কিছু না কিছু করতে। পাগলাটে কিছু করতে বলতেন, আর এর থেকে কী বের হয়ে আসে তার দিকে নজর দিতে বলতেন ফাহিম।

নলেজ শেয়ারিংয়ের ক্ষেত্রে উন্মুক্ততা

ফাহিম কখনো এ রকম ছিলেন না যে, তিনি যা শিখেছেন তা নিজের মধ্যেই রেখে দেবেন। তিনি নিজের সফলতার যাত্রা নিয়ে সব সময় লিখেছেন। ব্যবসা করার ক্ষেত্রে এবং উদ্যোক্তা হিসেবে তিনি যা শিখেছেন তা নিয়েই লিখতেন। সবার সঙ্গে শেয়ারও করতেন বিষয়গুলো।

মজার মানুষ ছিলেন ফাহিম

তাঁর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চোখ রাখলেই বোঝা যায় তিনি কতটা মজার মানুষ ছিলেন। তিনি ছিলেন অসাধারণ ব্যক্তিত্বের মানুষ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া ছবিগুলোর ক্যাপশনগুলো সর্বদাই ছিল মজাদার ও ইতিবাচক। বন্ধুদের সঙ্গে, একা বা কর্মচারীদের সঙ্গে ছবি তুলতে গিয়ে সব সময়ই মজা করতেন।

কাজের প্রতি প্যাশনেট ও শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলেন ফাহিম

ফাহিম তাঁর কাজের প্রতি প্যাশনেট ছিলেন। কাজের উন্নয়ন সম্পর্কে ও নতুনত্বের দিকেও অনকেটা নজর দিতেন তিনি। নিজের কাজ নিয়ে অনেকটাই আবেগপ্রবণ ছিলেন ফাহিম। প্রথমে যখন নাইজেরিয়ার লাগোস শহরের গভর্নর তাঁর গোকাডা সেবাটি বন্ধ করে দেয়, তখন তিনি অবেগপূর্ণ একটি ভিডিও পোস্ট করেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সেই সঙ্গে তিনি ভিডিওতে জানান, গোকাডার সব চালকের জন্য নিরাপত্তাবিষয়ক সব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তিনি সব সময়ই নিজের কাজের প্রতি মনোযোগী ছিলেন।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৬জুলাই, ২০২০)