রক্ত জমাট বাঁধার পর ফাহিমের দেহ খণ্ড-বিখণ্ড করা হয়
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনে তরুণ উদ্যোক্তা পাঠাওয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহকে হত্যার পর তার রক্ত জমাট বাঁধা পর্যন্ত অপেক্ষা করেছিল খুনী। এরপরই তার দেহ খণ্ড-বিখণ্ড করা হয়। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ডেইলি বিস্ট নিউ ইয়র্ক পুলিশের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে।
১৫ জুলাই ম্যানহাটনে নিজের অভিজাত অ্যাপার্টমেন্টে খুন হন ফাহিম সালেহ (৩৩)। হত্যাকাণ্ডের কারণ জানা না গেলেও পুলিশের ধারণা, অর্থঘটিত ব্যাপারে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
পুলিশের বরাত দিয়ে ডেইলি বিস্ট জানিয়েছে, অ্যাপার্টমেন্টের লিফটে ফাহিমের সঙ্গেই প্রবেশ করেছিল সম্পূর্ণ কালো পোশাক পরিহিত হত্যাকারী। লিফটে সে ফাহিমের সঙ্গে কিছু বার্তাও বলেছিল। তবে এর অডিও রেকর্ড পাওয়া যায়নি। লিফট থেকে বের হওয়ার পর ফাহিমের পেছনে আসা হত্যাকারী তার হাত উঁচু করেন। এরপরই ফাহিম মেঝেতে পড়ে যান। লিফটের দরজা এরপর বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এরপরের ঘটনাগুলোর ভিডিও রেকর্ড পাওয়া যায়নি।
পুলিশের ধারণা, হত্যাকারী ট্যাজার গান দিয়ে বৈদ্যুতিক শক ছুড়ে মারায় জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলেন ফাহিম। পরে তাকে অ্যাপার্টমেন্টের ভেতরে নিয়ে ছুরিকাঘাত করা হয়।
ময়নাতদন্তে জানা গেছে, ফাহিমকে একাধিকবার ছুরিকাঘাত করা হয়। এতেই তার মৃত্যু হয়।
গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মৃতদেহের রক্ত জমাট বাঁধা পর্যন্ত অপেক্ষা করেছিল হত্যাকারী। এর জন্য ফাহিমের অ্যাপার্টমেন্টে সে সারারাত অবস্থান করেছিল। পরে ইলেকট্রিক করাত দিয়ে মৃতদেহ খণ্ড-বিখণ্ড করে সে। শরীরের বিভিন্ন অংশ ভারী প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরার সময় লবি থেকে বা বাইরে থেকে কেউ ফাহিমের খোঁজ করতে আসেন। এ সময় পরিকল্পনা অনুযায়ী হত্যাকারী তার কাজ শেষ করতে পারেনি। হত্যাকাণ্ডের প্রমাণ পুরোপুরি মুখে ফেলতে গিয়েও ব্যর্থ হয় সে।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৬জুলাই, ২০২০)