‘আর্চারের ভুলে বিশাল অঙ্কের আর্থিক ক্ষতি হতে পারতো’
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: ‘বায়ো-সিকিউর’ বিধি ভঙ্গের কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের ইংল্যান্ড দল থেকে বাদ পড়েছেন জাফরা আর্চার। প্রথম টেস্টের ভেন্যু সাউদাম্পটন থেকে দ্বিতীয় টেস্টের জন্য ম্যানচেস্টার আসার পথে ব্রাইটনে নিজের বাসায় ঘণ্টাখানেক সময় কাটিয়েছিলেন তিনি। আর তাই ইংল্যান্ডের ছেলেদের জাতীয় দলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সাবেক স্পিনার অ্যাশলি জাইলস বলছেন, জফ্রা আর্চারের ভুলে ভেস্তে যেতে পারত বোর্ডের সব আয়োজন। হতে পারত বিশাল আর্থিক ক্ষতি।
টিম বাসে সবার একই সঙ্গে ভ্রমণ একটু বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে ভেবেই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে ক্রিকেটারদের সবাইকে ব্যক্তিগত গাড়িতে ভ্রমণের কথা বলেছিল বোর্ড। আর্চার বিপত্তি বাধান সেখানেই। জাইলসের কথায় ইঙ্গিত, এই টেস্ট থেকে বাদ পড়ার পর আর্চারের শাস্তি বাড়তে পারে আরও, ‘ভয়ঙ্কর বিপর্যয় হতে পারত এই ঘটনায়। তার এই ছোট্ট কাণ্ডের খেসারত পুরো গ্রীষ্মেই বয়ে বেড়াতে হতে পারত, ক্ষতি হতে পারত কোটি কোটি পাউন্ড। আমার মনে হয় না, জফ্রা বুঝতে পেরেছিল এটির সম্ভাব্য ধাক্কা কতটা তীব্র হতে পারে। আমরা সবকিছু পরিষ্কার করেই বলেছিলাম যে কেমনটা চাই, কিন্তু সে বোঝেনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সব ঘটনারই ফল ভোগ করতে হয় এবং একটি প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে আমরা যাব। শৃঙ্খলা নিয়ে একটি প্রক্রিয়া অবশ্যই থাকবে। আপাতত এটুকুই শুধু বলছি, কারণ ব্যাপারটি চাকরি সংক্রান্ত।’
আর্চার দাবি করেছেন, নিজের বাসায় থাকার সময়টুকুতে কেবল একজনের সংস্পর্শে তিনি এসেছিলেন। পরিস্থিতির গুরুত্ব বোঝার পর তিনি দ্রুতই পরীক্ষা করান ও ফল এসেছে নেগেটিভ। তবে কোনো ঝুঁকি না নিতেই দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে বোর্ড।
কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন আর্চার। জাইলস জানাচ্ছেন, শাস্তি দিলেও বোর্ড পাশেই আছে এই তরুণের, ‘এই ঘটনায় শাস্তির পাশাপাশি সমর্থনও গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সবাই ভুল করি। জফ্রা এই ভুল থেকে শিখবে। আমরা ওকে সমর্থন দেব এবং সামনে তাকাব। এই ঘটনায় বিশ্বাস হারানো বা অর্জনের কিছু নেই। এই প্রথমবার এরকম কিছু সে করল। এই দলের জন্য জফ্রা খুব ভালো সংযোজন। দারুণ এক তরুণ সে, অবিশ্বাস্যরকম বিনয়ী, কঠোর পরিশ্রম করে এবং দলের বড় সম্পদ। এই ঘটনায় সে ভুল করেছে। সে বলেছে যে কতটা দুঃখিত। অবশ্যই সবার জন্য খুব হতাশার ঘটনা এটি। তবে তার বয়স কম, তরুণরা ভুল করতে পারে। তাকে এখান থেকে শিখতে হবে।’
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৭জুলাই, ২০২০)