খুলনায় সংঘর্ষের ঘটনায় আরও ২ জনের মৃত্যু
খুলনা প্রতিনিধি: খুলনায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতের নাম নজরুল ইসলাম (৬০)। এছাড়া, প্রতিপক্ষের গণপিটুনিতে জিহাদ শেখ (৩০) নামে একজন মারা গেছেন।
বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) মধ্য রাতে খুলনা মেকিড্যাল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দু’জনই মারা যান।
গতরাত সাড়ে ৯টার দিকে খানজাহান আলী থানার মশিয়ালী এলাকায় জাকারিয়া বাহিনী ও ফকির বংশের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
শুক্রবারও (১৭ জুলাই) এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
গ্রামবাসীর ওপর গুলি চালানোর অভিযোগে শেখ জাকারিয়া হাসানকে খানজাহান আলী থানা আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের খুলনা মহানগর শাখার দপ্তর সম্পাদক মুন্সি মাহবুবুল আলম সোহাগ এ তথ্য জানান।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, মশিয়ালীর ফকির গ্রুপের মুজিবর রহমান বৃহস্পতিবার বিকেলে স্থানীয় সিএমবি এলাকায় আখ ক্ষেতে কাজ করছিল। এ সময় প্রতিপক্ষ শেখ জাকারিয়া হাসান পার্শ্ববর্তী সরকারি জমিতে অবৈধভাবে তোলা তার অফিসে মুজিবরকে ডেকে এনে কয়েক রাউন্ড গুলি ধরিয়ে দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। এ খবর ফকির গ্রুপের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে তারা সংঘবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ করে।
এভাবে দু’ পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে রাত ৯টার দিকে ফকির গ্রুপের লোকজন জড়ো হয়ে আবারও প্রতিবাদ জানালে শেখ জাকারিয়া, জাফরিন ও মিল্টন- এই তিন সহোদর অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা করে ও নির্বিচারে গুলি চালায়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই গোলাম রসুল ও নজরুল ইসলাম মারা যান। পরবর্তীতে ফকির গ্রুপের লোকজন স্থানীয় মসজিদের মাইকে তাদের ওপর হামলার জন্য বাঁচানোর আকুতি জানিয়ে ঘোষণা দিলে এলাকার লোকজন এসে হামলাকারীদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে।
শুক্রবার (১৭ জুলাই) সকালে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (মিডিয়া) কানাই লাল সরকার জানান, মশিয়ালীতে গোলাগুলির ঘটনায় মোট চারজন নিহত হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৭জুলাই, ২০২০)