দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিয়ে তার ভাতিজির লেখা বহুল আলোচিত বইটি অবশেষে প্রকাশিত হয়েছে। ট্রাম্প ‘কীভাবে তৈরি হলো বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক এক মানুষ’ এই স্মৃতিকথা নিয়ে লেখা বইটি প্রথম দিনেই প্রায় ১০ লাখ কপি বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।

ম্যারি ট্রাম্পের বইটির নাম ‘টু মাচ অ্যান্ড নেভার এনাফ: হাও মাই ফ্যামিলি ক্রিয়েটেড দ্য ওয়ার্ল্ড’স মোস্ট ডেঞ্জারাস ম্যান’। এর অর্থ ‘হয়তো অনেক কিছু, তবে পুরোটা নয়: আমার পরিবার থেকে কীভাবে তৈরি হলো বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক এক মানুষ’। অর্থাৎ ট্রাম্প পরিবার থেকে বিভাবে বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক মানুষটি গড়ে উঠেছে তার বর্ণনা উঠে এসেছে ম্যারি ট্রাম্পের এই বইটিতে।

বইটির লেখিকা ট্রাম্পের সবচেয়ে বড় ভাই ফ্রেডের মেয়ে মনোবিজ্ঞানী ম্যারি ট্রাম্প। এই বইয়ে ট্রাম্পের ঔদ্ধত্য ও অবহেলার অনেক অভিযোগ তুলেছেন তিনি। কিভাবে ট্রাম্প ‘নার্সিসিস্ট’ তথা আত্ম অহংকারী হয়ে উঠেছেন তাও উল্লেখ করা হয়েছে।

নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে বইটির প্রকাশ বন্ধ করতে নানা চেষ্টা চালিয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসন। কিন্তু সব বাধা পেরিয়ে ১৪ জুলাই বইটি প্রকাশ করা হয়। তবে বাজারে আসার আগেই সবার দৃষ্টিকাড়া বইটি। বইটির প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান সিমন ও শুস্টের এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আগের অর্ডার ও অডিও ও ডিজিটাল ভার্সনসহ মঙ্গলবার প্রথম দিনই ৯ লাখ ৫০ হাজার কপি বিক্রি হয়েছে, যা কোম্পানির রেকর্ড।

ট্রাম্পের ওপর লেখা ভাতিজির এই বইটিকে ‘মিথ্যাবাদিতার বই’ বলে উল্লেখ করেছে হোয়াইট হাউস। বইটির প্রকাশ বন্ধ করে দিতে ট্রাম্পের ছোট ভাই রবার্ট ট্রাম্প আদালতে পর্যন্ত গিয়েছিলেন। তার দাবি, ম্যারি ২০০১ সালে পারিবারিক গোপনীয় বিষয়গুলো প্রকাশ করবে না বলে যে চুক্তি করেছিল তা লঙ্ঘন করছে।

গত ৩০ জুন ওই বইটি প্রকাশের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের সুপ্রিম কোর্টের বিচারক। তবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বাতিল হয়ে যায় ওই নিষেধাজ্ঞা।

প্রকাশনী প্রতিষ্ঠান সিমন ও শুস্টের জানিয়েছে, তারা আরও অনেক অর্ডার পেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেই বইটির বিক্রির সংখ্যা সাড়ে ১১ লাখ ছাড়াতে পারে। কানাডা ও অস্ট্রেলিয়াতে আমাজনের বই বিক্রির তালিকায়ও শীর্ষে রয়েছে ম্যারির এই বই।

এর আগে অ্যামাজন থেকে এই আত্মজীবনীর যে সারসংক্ষেপ প্রকাশ করা হয়েছিল তাতে বলা হয়েছে, “তার চাচা ট্রাম্প কীভাবে বিশ্বের স্বাস্থ্য, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক নিরাপত্তা বিরুদ্ধে হুমকি হয়ে উঠলেন সেই ব্যাখ্যা লেখিকা তার আত্মজীবনীতে দেবেন।”

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৭জুলাই, ২০২০)