দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: নারী স্বাধীনতা নিশ্চিতের পথে আরো এক ধাপ এগিয়ে গেলো সৌদি আরব। দেশটির আদালত এক ঐতিহাসিক রায়ে জানিয়েছে, এখন থেকে দেশটির নারীরা কোনো পুরুষ অভিবাবকত্ব ছাড়াই দেশের যেকোনো স্থানে ভ্রমণ করতে পারবে। একই সঙ্গে এখন থেকে সৌদি নারীরা একা থাকার অনুমতি পেয়েছে।

এরফলে দেশটির নারীরা চাইলে এখন একা বাসা নিয়েও থাকতে পারবে। এ খবর দিয়েছে মিডল ইস্ট মনিটর। সমপ্রতি সৌদি আরবের এক নারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন সেখানকার এক সরকারি কর্মকর্তা। ঐ নারী নিজে একা একটি বাড়ি নিয়ে থাকতেন। একই সঙ্গে তিনি একা একা কারো অনুমতি না নিয়েই রিয়াদে সফর করতেন। এটি দেখে একাই আগ বাড়িয়ে ওই কর্মকর্তা আদালতে ওই নারীর বিরুদ্ধে মামলা করে দেন।

তবে আদালত ওই মামলা খারিজ করে দেন। ওই নারীর আইনজীবী আব্দুল-রহমান আল-লাহিম এ কথা জানিয়েছেন। আদালত জানিয়েছে ওই নারী যা করেছেন তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হতে পারে না।

এই রায়কে ধরা হচ্ছে সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের আরেকটি মাইলস্টোন। কট্টোর রক্ষণশীল দেশটিকে তিনি ধাপে ধাপে আধুনিক সভ্যতার সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ লক্ষ্যে গত কয়েক বছরে বেশ কিছু উদারিকরণ পদক্ষেপ হাতে নিয়েছেন ও বাস্তবায়ন করেছেন ক্রাউন প্রিন্স বিন সালমান।

এর আগে নারীদের গাড়ি চালানোর সুযোগ, অনুমতি ছাড়াই বিদেশ সফরের সুযোগসহ বেশ কিছু ক্ষেত্রে নারী বান্ধব আইন করেছেন তিনি। রায়ে আদালত জানিয়েছে, একজন নারী যিনি কিনা প্রাপ্ত বয়স্কা তিনি চাইলেই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন তিনি কোথায় থাকবেন বা কোথায় যাবেন।

আল-লাহিম এ রায়ের পর একটি টুইট করেন। এতে তিনি বলেন, আজ সৌদি আরব এক ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে। আজকের পর থেকে এখানে আর কোনো নারীর একা বাসা নিয়ে থাকা অপরাধ নয়। আমি আজ অনেক আনন্দিত। কারণ, সৌদি নারীদের এক বেদনাময় অধ্যায় শেষ হতে চলেছে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৮জুলাই, ২০২০)