দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ফাহিম সালেহ খুনের ঘটনা তদন্তে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসছে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া ফহিমের ব্যক্তিগত সহকারী টাইরেস ডেভনের গবিবিধির ভিডিও ফুটেজ ও পুলিশের বরাতে নিউইয়র্ক পোস্ট প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

শনিবার (১৮ জুলাই) প্রকাশিত একটি ভিডিওতেও দেখা যায়, রাইড শেয়ারিং অ্যাপ পাঠাওয়ের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ফাহিমকে খুন করার দুদিনের মাথায় ডেভনকে একজন তরুণীর সঙ্গে সময় কাটাতে দেখা গেছে। শপিং করার পাশাপাশি জন্মদিনের বেলুনও কিনেছেন। ডেভন যে বেলুন কিনেছেন সেটিতে ছিল ২২ লেখা। অর্থাৎ ওই তরুণীর ২২তম জন্মদিনের পার্টি উদযাপনের প্রস্তুতি শুরু করেছিলেন ডেভন। নিউইয়র্ক পুলিশ এমনটাই জানিয়েছে।

ভিডিওতে আরও দেখা গেছে, ডেভন শপিংয়ে যাওয়ার জন্য ক্যাব খুঁজছিলেন। সেখান থেকে একটু সামনে এগিয়ে এসে একটি গাড়ি থেকে ২২ লেখা দুটি বেলুন কিনেন। তিনি যা কিছু কেনাকাটা করেছেন সবগুলোই ফাহিমের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে কিনেছেন।

ডেভনকে পুলিশ আমেরিকার নতুন ‘সাইকো’ বলে উল্লেখ করেছে।

গত ১৫ জুলাই ম্যানহাটনে নিজের অভিজাত অ্যাপার্টমেন্টে খুন হন ফাহিম সালেহ (৩৩)। লিফটের মধ্যে থাকা সিকিউরিটি ক্যামেরায় দেখা গেছে, অ্যাপার্টমেন্টের লিফটে ফাহিমের সঙ্গেই প্রবেশ করেছিল সম্পূর্ণ কালো পোশাক পরিহিত হত্যাকারী। পুলিশ যাকে তার ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে চিহ্নিত করেছে। লিফটে সে ফাহিমের সঙ্গে কিছু কথাবার্তাও বলেছিল।

লিফট থেকে বের হওয়ার পর ফাহিমের পেছনে আসা হত্যাকারী তার হাত উঁচু করে। এরপরই ফাহিম মেঝেতে পড়ে যান। পুলিশের ধারণা, হত্যাকারী ট্যাজার গান দিয়ে বৈদ্যুতিক শক ছুড়ে মারায় জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলেন ফাহিম। লিফটের দরজা এরপর বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এরপরের ঘটনাগুলোর ভিডিও রেকর্ড পাওয়া যায়নি। পরে তাকে অ্যাপার্টমেন্টের ভেতরে নিয়ে ছুরিকাঘাত করা হয় বলে অনুমান পুলিশের। নিউ ইয়র্ক সিটির ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক জানিয়েছেন, গলা ও কাঁধে একাধিক ছুরিকাঘাতে নিহত হয় ফাহিম।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৯জুলাই, ২০২০)