এক হাজার জনকে হজের অনুমতি সৌদির, শুরু ২৯ জুলাই
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: করোনাভাইরাসের কারণে সীমিত পরিসরে অনুষ্ঠিত হবে এবারের হজ। হজের জন্য সৌদিতে বসবাসরত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের এক হাজার জনকে অনুমতি দিয়েছে সৌদি আরব। এবারের হজ শুরু হবে ২৯ জুলাই। সৌদি কর্তৃপক্ষ সোমবার এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর আল জাজিরার।
অন্যান্য বছরে ২৫ লাখের বেশি মুসলিম হজের জন্য এসময় মক্কায় একত্রিত হন। কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারির কারণে এবছর সেটি সম্ভব হয়নি।
গত মাসে সৌদি আরব ঘোষণা করেছিল যে, এবারের হজ হবে একেবারে সীমিত। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
হজের প্রথম ধাপে ৭ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে অংশগ্রহণকারীদের। এরই মধ্যে তারা কোয়ারেন্টাইন শুরু করেছেন। তারপর শুরু হবে মূল পর্ব।
এবারের হজের নিয়মে বলা হয়েছে, সাত দিনের কোয়ারেন্টাইন শেষে মক্কায় এসে আরও চার দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে হজ যাত্রীদের। তারপর ৮ জিলহজ বাদ ফজর রওয়ানা হবেন মিনায়। মিনাযাত্রার মধ্য দিয়ে শুরু হবে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা। ১২ জিলহজ পর্যন্ত মিনা, মুজদালিফা, আরাফাতের ময়দান ও মক্কায় হজের বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করবেন তারা।
সৌদি আরবের হজ ও উমরা মন্ত্রণালয় নিবন্ধিত হজযাত্রীদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী পাঠিয়েছে। এসব সামগ্রীর বাইরে অন্য কিছু বহন করতে পারবে না হজযাত্রীরা। প্রয়োজনীয় সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে- একটি স্মার্ট ব্রেসলেট, দুই সেট ইহরামের কাপড়, ব্যক্তিগত প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি, জামারাতে নিক্ষেপের জন্য জীবাণুমুক্ত কঙ্কর, জুতা, ফোনের চার্জার, জায়নামাজ, জুতার ব্যাগ, হাতব্যাগ এবং হজের বিধি-বিধানসহ প্রাসঙ্গিক বই-পত্র ও স্বাস্থ্যবিধি সম্বলিত হজ নির্দেশিকা।
যাতায়াতের জন্য প্রতি ২০ জন করে একটি দল করা হয়েছে। প্রত্যেক বাসে এক দল করে হজযাত্রী চলাফেরা করবেন।
মিনা, জামারাত, মুজদালিফা ও আরাফাতের ময়দানে যে অংশ হাজিরা অবস্থান করবেন, সেসব স্থান জীবাণুমক্ত করা হয়েছে। মসজিদে হারামের ভেতরে ও বাইরের অংশে নামাজের কাতারে নামাজের সময় শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করার জন্য স্টিকার লাগানো হয়েছে।
এছাড়া তাওয়াফের সময় কাবা শরিফ স্পর্শ ও হাজরে আসওয়াদে চুমো দেওয়া যাবে না। নামাজের জামাতেও দূরত্ব বজায় রেখে দাঁড়াতে হবে। সর্বাবস্থায় হজযাত্রীদের জন্য মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক।
হারামাইন প্রেসিডেন্সি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এবারের হজের খুতবা ৫ ভাষায় অনুবাদ করে সম্প্রচার করার। ভাষাগুলো হলো- ইংরেজি, ইন্দোনেশিয়ান, উর্দু, ফ্রেঞ্চ ও ফারসি।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২১জুলাই, ২০২০)