ডিজিটাল প্লাটফর্মে এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের আইপিওর লটারি অনুষ্ঠিত
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) আবেদনের লটারি অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচার কচি কাচার মেলা ভবনের একটি মিলনায়তনে এই লটারি অনুষ্ঠিত হয়। চলমান পদ্ধতির পাশাপাশি ডিজিটাল প্লাটফর্মের মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) তদারকিতে এই লটারীর ড্র অনুষ্ঠিত হয়।
লটারির এই অনুষ্ঠানে কোম্পানির চেয়ারম্যান, পরিচালক ও স্বতন্ত্র পরিচালকগণ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সিএফও, কোম্পানি সেক্রেটারি, বাংলাদেশে সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন( বিএসইসি), ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ ও সিডিবিএলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
কোম্পানির আইপিওতে ৬ গুণ আবেদন জমা পড়েছিল। এতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ২ লাখ ৬১ হাজার ৫৮টি বিও একাউন্ট থেকে প্রায় ১৩৬ কোটি টাকার আবেদন করা হয়। একইসময় ১১৫ জন যোগ্য বিনিয়োগকারীর পক্ষ থেকে ২২ কোটি ৭১ লাখ ১০ হাজার টাকার আবেদন জমা পড়ে।
এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের আইপিওতে আবেদন সংগ্রহ করার জন্য দ্বিতীয় দফায় গত ১৪ জুন থেকে ২ জুলাই পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করা হয়।
এর আগে আইপিও আবেদন গ্রহণের সময় বৃদ্ধির বিষয়টি অনুমোদন দিয়ে এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সকে চিঠি দেয় বিএসইসি।
গত ১৮ জুন (বৃহস্পতিবার) কোম্পানিটির আইপিও আবেদনের পুনর্নির্ধারিত সময় শেষ হয়। এই সময়কে বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য বিএসইসির কাছে আবেদন জানানো হয়। আবেদনের প্রেক্ষিতে সময় বাড়িয়ে দেয় বিএসইসি।
কোম্পানিটির গত ১৪ জুন থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত আইপিও আবেদনের সময় পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছিল। এর আগে করোনাভাইরাসের কারণে দেশের পুঁজিবাজার ২৬ মার্চ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত বন্ধ থাকার কারনে আবেদন গ্রহণ শুরু করা সম্ভব হয়নি।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭১৯তম সভায় কোম্পানিটিকে আইপিওর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন দেওয়া হয়।
কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে ২ কোটি ৬০ লাখ ৭৯ হাজার সাধারণ শেয়ার ছেড়ে ২৬ কোটি ৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা উত্তোলন করবে। প্রতিটি শেয়ারের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ টাকা। উত্তোলিত অর্থ দিয়ে কোম্পানিটি ট্রেজারি বন্ড ও অন্যান্য ক্ষেত্রে বিনিয়োগ এবং আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করবে।
৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ সমাপ্ত বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী কোম্পানিটির বিগত ৫ বছরে ভারিত গড় হারে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ১.৪২ টাকা এবং পুনমূল্যায়নসহ শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৮.৭২ টাকায়। যা পুনমূল্যায়ন ছাড়া ১৬.৬৫ টাকা।
কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে এএএ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, আইআইডিএফসি ক্যাপিটাল এবং বিএলআই ক্যাপিটাল লিমিটেড।
উল্লেখ্য, ইলেকট্রনিক সাবস্ক্রিপশন সিস্টেমে (ইএসএস) কোম্পানিটির শেয়ার কিনতে অংশগ্রহনে ইচ্ছুক প্রত্যেক যোগ্য বিনিয়োগকারীকে ইএসএস শুরুর পূর্বের ৫ম কার্যদিবস শেষে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে কমপক্ষে ১ কোটি টাকা বিনিয়োগ থাকতে হবে।
(দ্য রিপোর্ট / টিআইএম/২৪জুলাই,২০২০)