লিবিয়ায় অস্ত্র ও সামরিক যন্ত্রপাতি পাঠাচ্ছে রাশিয়া
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে যুদ্ধ বিধ্বস্ত লিবিয়ায় অস্ত্র ও সামরিক যন্ত্রপাতি পাঠাচ্ছে রাশিয়া। আর এটার ভুরি ভুরি প্রমাণ তাদের কাছে রয়েছে। খবর আল জাজিরার।
শুক্রবার (২৪ জুলাই) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর আফ্রিকা উইং এর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে রাশিয়া যে লিবিয়ার বিদ্রোহী গ্রুপ হাফতার বাহিনীকে অস্ত্র ও সামরিক যন্ত্রপাতি পাঠিয়ে সহায়তা করছে সেটার ভুরি ভুরি প্রমাণাদি তাদের কাছে রয়েছে। রয়েছে স্যাটেলাইট ছবি। যেখানে দেখা গেছে যে রাশিয়ার কার্গো বিমান দেশটির বেসরকারি সামরিক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওয়াগনার গ্রুপের চালান লিবিয়ায় পৌঁছে দিয়েছে।
এ বিষয়ে মার্কিন সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গ্রেগরি হাডফিল্ড (ডেপুটি ডিরেক্টর আফ্রিকম, ইন্টেলিজেন্স) বলেছেন— স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ধারনা করা ছবিতে রাশিয়ার জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তারা লিবিয়ায় তাদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে যাচ্ছে। রাশিয়ার এয়ার ডিফেন্স যন্ত্রপাতি, বিশেষ করে এসএ-২২এস বর্তমানে লিবিয়ায় ব্যবহৃত হচ্ছে। যেটা সরবরাহ করছে রাশিয়ার ওয়াগনার গ্রুপ। আরো দেখা গেছে ওয়াগনারের ইউটিলিটি ট্রাক, মাইন প্রতিরোধ যন্ত্র এবং সাঁজোয়াযানও
এ সংক্রান্ত ৫৭ পৃষ্ঠার একটি রিপোর্ট সম্প্রতি মার্কিন সেনাবাহিনী জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে দাখিল করেছে। হয়তো বরাবরের মতো এবারও এই দাবি প্রত্যাখান করবে রাশিয়া।
২০১১ সালে ন্যাটোর সহায়তায় ঘটা বিপ্লবের মাধ্যমে তৎকালিন শাসক মুয়াম্মর গাদ্দাফিকে হত্যার পর থেকে লিবিয়া নানা সমস্যায় জর্জরিত। তেল সমৃদ্ধ দেশটিতে বর্তমানে জাতিসংঘ সমর্থিত সরকারের দখলে রয়েছে একাংশ (রাজধানী ত্রিপোলি ও উত্তর-পশ্চিম অঞ্চল)। আর দলত্যাগী সামরিক কমান্ডার খলিফা হাফতার বাহিনী তথা লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মির দখলে রয়েছে বেনগাজী ও পূর্বাঞ্চল। এই বাহিনীকে সমর্থন দিচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিশর ও রাশিয়া। আর জাতিসংঘ সমর্থিত সরকারকে সমর্থন দিচ্ছে তুরস্ক।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২৫জুলাই, ২০২০)