অনেকগুলো ৫০ বা ১০০ মিস হয়ে যাচ্ছে: মুশফিক
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ২২ গজে তাঁর পদচারণা মানেই রানের ফোয়ারা। দুঃসময়ে তাঁর ব্যাট যেন তরবারী। প্রতিপক্ষকে দুমড়ে মুচড়ে দেওয়ার অসম্ভব ক্ষমতা ছোট্ট পকেট ডায়নামোর। নিজের যোগ্যতা ও প্রতিভার প্রমাণস্বরূপ খ্যাতি যেমন পেয়েছেন, ঠিক তেমনি একজন নির্ভরযোগ্য মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান হিসেবেও দলে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। বলা হচ্ছে মুশফিকুর রহিমের কথা।
যৌবন ও অভিজ্ঞতা মিলিয়ে মুশফিকের স্নিগ্ধ জীবন। বলার অপেক্ষা রাখে না জীবন সবচেয়ে সাফল্যমন্ডিত ও গৌরবময় সময় কাটাচ্ছেন। নামের পাশে তিন তিনটি ডাবল সেঞ্চুরি। একমাত্র উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান হিসেবে দুটি ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ডটিও তাঁর দখলে। রয়েছে ছোট-বড় আরও কত অর্জন। সব মিলিয়েই মুশফিকের বৃহস্পতি এখন তুঙ্গে। অথচ করোনার ধাক্কায় চারমাসেরও বেশি সময় ধরে প্রতিযোগীতামূলক ক্রিকেট খেলতে পারছেন না। লকডাউনের আগে শেষ ম্যাচেও পেয়েছিলেন সেঞ্চুরি। তার আক্ষেপ, দিন দিন বয়স বাড়ছে, সময় কেটে যাচ্ছে, সাথে অনেকগুলো ৫০ বা ১০০ মিস হয়ে যাচ্ছে।
পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় ইংল্যান্ডে ফিরেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। সেগুলো টিভির পর্দায় দেখে আফসোসে পুড়ছেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক। কথার ঝাঁপি খুলে মুশফিক বলেন, ‘খেলা দেখলে আসলে আফসোস লাগে। সারাদিন বাসায় বসে পরিবারের সাথে সময় কাটানো ও খেলাটা দেখা হয়। একটু হলেও খারাপ লাগে, অনেকগুলো ৫০ বা ১০০ মিস হয়ে যাচ্ছে।’
করোনা পরবর্তীকালে মাঠে ক্রিকেট ফেরায় স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে আইসিসি বেশ কঠোর। এজন্য ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা গাইডলাইনও দিয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল কিভাবে আইসিসির নির্দেশনা বাস্তবায়ন করছেন সেগুলিতে নজর রাখছেন মুশফিক।
‘নতুন নিয়ম যেমন বলে অনেক কিছু ব্যবহার করা যাবে না, ব্যাটসম্যানদেরও একটা কঠিন সময় থাকে। সবকিছু দেখে ওখান থেকেও শিক্ষার নেওয়ার চেষ্টা করছি। আমাদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট যখন পুনরায় শুরু হবে আবার যেন আগের অবস্থায় ফিরে যেতে পারি সেটাই চাই। এছাড়া চেষ্টা করছি টিভিতে খেলা দেখে কীভাবে নিজেকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করা যায়।’
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২৬জুলাই, ২০২০)