‘বিশ্বব্যাংকের ২৯টি প্রকল্প চালু আছে’
দিরিপোর্ট২৪ প্রতিবেদক: বর্তমানে বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের চার হাজার ৮১৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ৩৮ হাজার ২২ কোটি সাত লাখ টাকা ঋণ সহায়তায় মোট ২৯টি প্রকল্প চালু আছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।
নবম জাতীয় সংসদের ১৯তম অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য সানজিদা খানমের এক প্রশ্নের উত্তরে রবিবার মন্ত্রী এই তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘প্রকল্পগুলোর জন্য এ পর্যন্ত এক হাজার ২২৫ মিলিয়ন ডলার বা নয় হাজার ৬৭৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয় করেছে। এছাড়াও বর্তমানে বিশ্বব্যাংক পরিচালিত ট্রাস্ট ফান্ডভুক্ত ২৫টি প্রকল্প রয়েছে। এ সকল প্রকল্পে মোট বরাদ্দ ৪৯৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।’
মন্ত্রী জানান, বিশ্বব্যাংকের ঋণ-সহায়তায় প্রকল্পগুলোর মধ্যে দারিদ্র্য দুরীকরণ প্রকল্পে ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, স্বাস্থ্যখাত উন্নয়ন কর্মসূচীতে ৩৫৮ দশমিক ৯ মিলিয়ন ডলার, সিদ্ধিরগঞ্জ পিকিং পাওয়ার প্রকল্পে ৩৫০ মিলিয়ন ডলার উল্লেখযোগ্য।
বিরোধীদলীয় সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য রেহানা আক্তার রানুর এক প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে বর্তমান সরকার আগস্ট ২০১৩ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন তফসিলি ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাংলাদেশ ব্যাংক হতে ট্রেজারি বিল ও বন্ডের মাধ্যমে মোট দুই লাখ ৩২ হাজার ৬৩০ কোটি টাকা ঋণ গ্রহণ করেছে এবং একই সময়ের মধ্যে এক লাখ ৪৪ হাজার ৭৯৮ কোটি টাকা ঋণ পরিশোধ করেছে। বর্তমানে সরকারের কাছে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বকেয়া ঋণের পরিমাণ ৮৭ হাজার ৮৩২ কোটি টাকা।’
এইচ এম গোলাম রেজার এক প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী সংসদকে জানান, ‘বর্তমান সরকারের প্রথম চার বছরে চোরাচালানীদের কাছ থেকে ২০ কোটি ৫৩ লাখ টাকা মূল্যে স্বর্ণ ও স্বর্ণবার বাজেয়াপ্ত করে। একই সময়ে পাঁচ কোটি টাকার মূল্যের কস্টি পাথর, পাথর, ধাতু দিয়ে তৈরি মূর্তি বাজেয়াপ্ত করে। এসব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সরকার ২৫ কোটি ৫৩ লাখ টাকা রাজস্ব আয় করেছে।’
মুহিবুর রহমান মানিকের এক প্রশ্নের উত্তরে মুহিত বলেন, ‘বর্তমান সরকারের আমলে আরাফাত রহমান কোকো কর্তৃক সিঙ্গাপুর পাচারকৃত মোট ২১ কোটি ৫৫ হাজার ৩৯৪ টাকা দেশে ফেরত আনা হয়েছে।’
বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্য নিলোফার চৌধুরী মনির এক প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বিগত চার অর্থ-বছরে এলপি গ্যাস, এলইডি লাইট, পার্টিকেল বোর্ড, গর্ভবতী মায়েদের জন্য সুষম খাদ্য ও বাল্কে আমদানিকৃত শিশু খাদ্যসহ মোট ১২৭টি পণ্যের শুল্ক হ্রাস করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রসাধন সামগ্রী, ওভেন ফেব্রিক্স, সিগারেট পেপার, এয়ারকন্ডিশনার, মোটরগাড়ি ও মোটর সাইকেলসহ মোট ২৩৫টি পণ্যের শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়েছে।’
দিরিপোর্ট২৪/আরএইচ/আরএইচ/এসবি/এমডি/নভেম্বর ১০, ২০১৩)