পাকিস্তানে ক্রিকেট ম্যাচে সন্ত্রাসীদের এলোপাতাড়ি গুলি
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: আবারও পাকিস্তানে ক্রিকেটকে ঘিরে ধরলো কালো মেঘ। প্রায় ১১ বছর আগের দুঃসহ স্মৃতি আবার ফিরে এলো। তবে এবার পাকিস্তানের ক্রিকেট মাঠেই। গত বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের এক ক্রিকেট ম্যাচ চলাকালীন ভয়াবহ গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।
পাকিস্তানের পত্রিকা দ্য নিউজ এক প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বৃহস্পতিবার খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের কোহাট বিভাগের ওরাকজাই জেলার দ্রাদার মামাজাই অঞ্চলে আমন ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনালে এলোপাতাড়ি গুলি করার ঘটনা ঘটেছে। তবে এবার কোনো জঙ্গী সংগঠন নয় বরং সন্ত্রাসীরা চালিয়েছে এই হামলা।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে দ্য নিউজ নিজেদের প্রতিবেদনে লিখেছে, টুর্নামেন্টটির ফাইনাল দেখতে অনেক দর্শক মাঠে উপস্থিত হয়েছিলেন। এর মধ্যে স্থানীয় রাজনৈতিক কর্মী থেকে শুরু করে সংবাদকর্মীরাও ছিলেন। টস হয়ে মাঠে খেলা গড়াতে দুঃস্বপ্নের শুরু। মাঠের নিকটস্থ পাহাড়ের উপর থেকে সন্ত্রাসীরা মাঠ লক্ষ্য করে নির্বিচারে গুলি চালাতে থাকে।
তবে সৌভাগ্যের বিষয় এমন ভয়াবহ গোলাগুলি সত্ত্বেও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি কারোই। খেলোয়াড়, আম্পায়ার, সংবাদকর্মী, দর্শক সবাই জীবন বাঁচাতে গোলাগুলি শুরু হওয়ার পর দৌড়ে পালাতে সক্ষম হোন। তবে ম্যাচটি তখনই বাতিল ঘোষণা করা হয়েছিল। এক প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে দ্য নিউজ লিখেছে, ‘গোলাগুলি এত বেশি হচ্ছিল যে, আয়োজকেরা সঙ্গে সঙ্গেই ম্যাচ বাতিল করে দেন।’
এদিকে মাঠের পাশে সেই পাহাড়ি অঞ্চল ঘিরে এমন সন্ত্রাসী আক্রমণের কথা আগে থেকেই জানতো বলে নিশ্চিত করেছে ওরাকজাই জেলার পুলিশ কর্মকর্তা নিসার আহমাদ। শিগগিরই সন্ত্রাসী ও অন্যান্য অপরাধীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে তারা, এমনটাই জানিয়েছেন সেই পুলিশ কর্মকর্তা।
যদিও অখ্যাত এক জায়গায় এমন গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে, তবে দেশটি পাকিস্তান বলেই নতুন শঙ্কার সৃষ্টি হলো। ২০০৯ সালে লাহোরে শ্রীলঙ্কা দলের বাসে সন্ত্রাসীদের গুলির ঘটনায় ছয় বছর নিজেদের মাঠে ক্রিকেট খেলতে পারেনি পাকিস্তান। লম্বা সময়ের প্রতীক্ষা শেষে জিম্বাবুয়ে, বিশ্ব একাদশ এবং এমসিসির দলকে রাজি করিয়ে পাকিস্তানে ক্রিকেট ফিরিয়েছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
সেই ধারাবাহিকতায় গত ১২ মাসে শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশের মতো দল পাকিস্তান সফর করেছিল। দেশটিতে সফরের অপেক্ষায় আছে ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকাও। তবে এমন ঘটনা নিশ্চয়ই পাকিস্তানের মাটিতে নিরাপত্তা ইস্যুর প্রশ্ন আবার সামনে নিয়ে আসবে। বিষয়টি কিভাবে সামাল দেয় পিসিবি, সেটিই এখন দেখার বিষয়।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০৭আগস্ট, ২০২০)