যেসব কারণে শরীর থেকে দুর্গন্ধ বের হয়
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: অনেকের শরীর থেকে এক ধরনের বিশ্রী গন্ধ বের হয়। ডিও স্প্রে বা পারফিউম ব্যবহার করে সেই গন্ধ ঢাকার চেষ্টা করা হয়। এতে কয়েক ঘণ্টা ভালো থাকলেও তারপর আবার তা শুরু হয়। গায়ের দুর্গন্ধের আসল কারণটা থেকেই যায়।
নানা কারণেই শরীরে বাজে গন্ধ হতে পারে। তবে এর আসল কারণটা খুঁজে বের করেছেন ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির গবেষকরা। তারা জানিয়েছেন যে, শরীরে দুর্গেন্ধের জন্য দায়ী হচ্ছে বিও এনজাইম। এই বিও এনজাইম এক ধরনের বিশেষ ব্যাকটিরিয়ার মধ্যে থাকে। আর এই ব্যাকটিরিয়া বাসা বাঁধে আমাদের বাহুমূলে। সেই কারণে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়।
শরীরের দুর্গন্ধ কেন হয়, তা বুঝতে এটি একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ বলে দাবি করেছেন ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির গবেষক ড. মিশেল রাডেন। তবে এছাড়াও শরীরে দুর্গন্ধ হওয়ার আরও কয়েকটি কারণ আছে। যেমন-
অপুষ্টি
ভর পেট খেলেই শরীরের পুষ্টির চাহিদা পূরণ হয় না। শরীরে পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে সব ধরনের খাদ্যই সঠিক পরিমাণে খাওয়া দরকার। শরীর অপুষ্ট থাকলে ঘামে দুর্গন্ধ হতে পারে। এছাড়া শরীরে ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতি হলে ঘামে বাজে গন্ধ হয়।
পারফিউম
গায়ে গন্ধ সুন্দর করতে আমরা সুগন্ধি বা পারফিউম ব্যবহার করি। তবে এই পারফিউম থেকেও ঘামে গন্ধ হতে পারে। কিছু পারফিউম রয়েছে যেগুলোতে ব্যাকটেরিয়া দূরকারী উপাদান থাকে না। এগুলো ব্যবহারের ফলে শরীরে ব্যাকটেরিয়া বেশি বৃদ্ধি পায় এবং দুর্গন্ধ তৈরি করে।
ওষুধ
নিয়মিত কোনো ওষুধ সেবনের কারণেও ঘামে দুর্গন্ধ হতে পারে। বিভিন্ন ওষুধের মধ্যে থাকা রাসায়নিক উপাদান ঘামের দুর্গন্ধ সৃষ্টির জন্য দায়ী।
সিনথেটিক কাপড়
সিনথেটিক কাপড় সুতির কাপড়ের চেয়ে কম ঘাম শোষণ করে। যদি ঘামে প্রচুর গন্ধ হয় তবে রেয়ন ও পলিয়েস্টারের তৈরি কাপড় এড়িয়ে চলাই ভালো। কেননা এগুলো ঘামে গন্ধ তৈরি করে।
খাবারে কম কার্বোহাইড্রেট
কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাদ্যের অভাব হলে ঘামে দুর্গন্ধ হয়। স্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার ঘামের বাজে গন্ধ দূর করতে সাহায্য করে।
মিষ্টি
ঘামের দুর্গন্ধ হওয়ার পেছনে মিষ্টি খাবারেও কিছু ভূমিকা রয়েছে। বেশি মিষ্টি খাবার দেহে ইস্ট উৎপন্ন করে। সাধারণত অ্যালকোহলের মধ্যে যে চিনি মেশানো হয় সেটা থেকে এই ইস্ট বেশি উৎপন্ন হয়; যা ঘামে দুর্গন্ধ তৈরি করে। এ ছাড়া খাবারে বেশি ঝালের ব্যবহার ঘামে দুর্গন্ধ তৈরি করার আরেকটি কারণ।
প্রস্রাব আটকে রাখলে
গবেষণায় বলা হয়, যদি আপনি দীর্ঘ সময় ধরে প্রস্রাব আটকে রাখেন তখন ঘামে উটকো গন্ধ বের হতে থাকে। শরীরের বিষাক্ত পদার্থগুলো তখন প্রস্রাবের সাথে বের হতে না পেরে ঘামের সাথে বের হয়।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০৮আগস্ট, ২০২০)